ঢাকা-৯: ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস ঢাকা-৯ আসনে। ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ভোটাররা বলছেন, প্রতীক নয়, সততা ও অতীতের কর্মকাণ্ড দেখেই ভোট দেবেন পছন্দের প্রার্থীকে।বিগত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে সবুজবাগ, খিলগাঁও ও মুগদার বিস্তৃত জনপদ নিয়ে গঠিত ঢাকা-৯ আসনের বাসিন্দাদের মুক্তি মেলেনি দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ থেকে। হাত বাড়ালেই মেলে মাদক, বর্ষাকালে ডুবে যায় সড়ক, শীতকালে থাকে তীব্র গ্যাস সংকট। এছাড়া ফুটপাত দখল যেন নিত্যদিনের ঘটনা। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এই আসনের ভোটারদের প্রত্যাশা, এলাকায় চাঁদাবাজি কিংবা সন্ত্রাস থাকবে না। নির্বাচিত সংসদ সদস্য এলাকার মানুষের দুর্ভোগ ও সমস্যা নিরসনেও কাজ করবেন। প্রথমবারের মতো ঢাকা-৯ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ। তিনি বলেন, ‘নাগরিক সুবিধা বলতে যা যা দরকার, আগামী দিনে কাজের মাধ্যমে জনগণের মন জয় করে আমরা এই আসনকে একটি মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’     অন্যদিকে বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও জামায়াত মনোনীত প্রার্থী কবির আহমেদ বলছেন, ‘নিম্ন আয়ের মানুষকে কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করে দিতে দলের পক্ষ থেকে যথেষ্ট চেষ্টা করছি। নির্বাচিত হতে পারলে এখানেই তদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবো।’   আরও পড়ুন: ঢাকা-৭: প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চান পুরান ঢাকার বাসিন্দারা রাজধানী খিলগাঁওয়ে মেয়ে তাসনিম জারা প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচন করবেন ঢাকা-৯ আসন থেকে। জাতীয় পর্যায়ে নিজ এলাকাকে তুলে ধরে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) যুগ্ম সদস্য সচিবের। তাসনিম জারা বলেন, ‘এই আসনে যা যা সমস্যা রয়েছে, সবগুলো বোঝার চেষ্টা করছি। জাতীয় পর্যায়ে কীভাবে এড্রেস করতে পারি- সবকিছুই কর্মপরিকল্পনাতে থাকবে।’ বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি ছাড়াও ঢাকা-৯ আসনে মাঠে আছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোস্টার-ব্যানার। এই আসনের মোট ভোটার ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫২। নারী ভোটার ২ লাখ ২৮, পুরুষ ২ লাখ ২১ হাজার জন।