ওসমান হাদির কিলিং মিশন: মাস্টারমাইন্ড সেই ‘শাহীন চেয়ারম্যান’

প্রতিদিন পাঠকের কাছে দেশের আলোচিত ঘটনা, রাজনৈতিক উত্তাপ, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, সমাজের পরিবর্তন এবং বিশ্বমঞ্চের নতুন বার্তা তুলে ধরে সংবাদপত্রগুলো। তথ্যপিপাসুদের তথ্যের চাহিদা মেটাতে সময় সংবাদ দেশের প্রধান প্রধান সংবাদপত্রের গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম পাঠকের সামনে তুলে ধরছে। এক নজরে জেনে নিন দেশের প্রধান সংবাদপত্রগুলোর প্রতিবেদন।দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় পত্রিকায় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত কিছু খবর নিচে তুলে ধরা হলো। ওসমান হাদির কিলিং মিশন: মাস্টারমাইন্ড সেই ‘শাহীন চেয়ারম্যান’- যুগান্তর পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম এটি। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ ওরফে ‘শাহীন চেয়ারম্যান’র নাম উঠে এসেছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, কিলিং মিশন বাস্তবায়নে অর্থ এবং অস্ত্রের জোগানদাতা ছিলেন তিনি নিজেই। এছাড়া চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডে শাহীন চেয়ারম্যানের সহযোগী হিসেবে...  জাল ভিসা, লাগেজ কাটা চক্র ভয়ংকর- এই শিরোনামে কালের কণ্ঠ পত্রিকার শেষ পাতায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বডি কন্ট্রাক্টে জাল ভিসাধারী যাত্রীকে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপ ও আমেরিকায় পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। লাগেজ কেটে যাত্রীদের মালপত্র গায়েব করে দেয়া চক্রের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে তাদের নাম। সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বিষয়টি তদন্তে বিমানের কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে। জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ট্রাফিক শাখার কর্মকর্তা মিজানুর রহমান শিশিরের বিরুদ্ধে মানবপাচার, জাল ভিসা দেয়া, বডি কন্ট্রাক্ট ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ উঠেছে। তাকে সহায়তাকারী বোর্ডিং পাস দেয়া বিমানের তৎকালীন চেকিং স্টাফ কৃষষ্ণ সুধার নামও রয়েছে। এইচএসসি পাসের সনদে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন শিশির। কয়েক বছর পর যোগ দেন বিমানের ট্রাফিক শাখায়। এখন তার পদবি জুনিয়র গ্রাউন্ড সার্ভিস অফিসার। বিটিসিএলের ৫৮ হাজার কোটি টাকার সম্পদের তথ্যে অস্বচ্ছতা- এই শিরোনামে বণিকবার্তা পত্রিকার প্রধান খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ ভারতে ১৮৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত টেলিগ্রাফ ব্রাঞ্চের উত্তরসূরি বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। বেশ কয়েক দফা কাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি হিসেবে এর যাত্রা। এরপর টানা ১৪ বছর লোকসান গুনেছে। প্রতিষ্ঠানটির বিপুল পরিমাণ সম্পদ থাকলেও নেই যথাযথ রেকর্ড। প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকার সম্পদের লিখিত বিবরণ না থাকায় এগুলোর স্বচ্ছতা ও যথার্থতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কোম্পানিটির নিরীক্ষক। তাছাড়া বিটিসিএলের বিভিন্ন প্রকল্প ও কার্যক্রম নিয়েও রয়েছে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ। এ অবস্থায় সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত এ প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যবসায়িকভাবে লাভজনক হিসেবে রূপান্তরেও সরকারের দিক থেকে নেই তেমন উদ্যোগ।