তাসকিনের বিপক্ষে মোস্তাফিজের হাসি, দুজনের শিকার ৫ উইকেট

নির্ধারিত ৪ ওভারে ৪০ রান দিলেও তাসকিন আহমেদ পুষিয়ে দিয়েছিলেন উইকেট নিয়ে। দুবাই ক্যাপিটালসের ৬ উইকেটের ৩টিই নেন তিনি। কিন্তু শেষ হাসি হাসতে পারলেন না, হাসলেন দুবাইয়ের হয়ে ২ ওভারে ১৩ রানে ২ উইকেট নেওয়া মোস্তাফিজুর রহমান। তাসকিনের শারজাহ ওয়ারিয়র্সকে ৬৩ রানে হারিয়েছে তারা।আইএলটি২০’র এই ম্যাচটিতে শুরুতে ব্যাট করে দুবাই করে ১৮০ রান। তাসকিন নেন সেদিকুল্লাহ অটল, জর্ডান কক্স ও দাসুন শানাকার উইকেট। এদের মধ্যে অটল ও শানাকা দুজনের ক্যাচই ধরেন সিকান্দার রাজা। কক্স ক্যাচ দেন জেমস রিউকে। অটল দুবাইয়ের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রাহক। ৪৪ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ে তিনি করেন ৬৬ রান।মোহাম্মদ নবি খেলেন ১৯ বলে ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংস। ৩টি করে চার ও ছয় হাঁকান তিনি। পরে বল হাতে ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আফগান অলরাউন্ডার ম্যাচসেরাও হন। বাকিদের মধ্যে কক্স ২৮, লুস দু প্লুই ১৮ ও রভম্যান পাওয়েল ১২ রান করেন। একটি করে উইকেট নেন রাজা, মাথিশা পাথিরানা ও আদিল রশিদ।আরও পড়ুন: প্রথম ১২ বলে ১৪ রানে ২ উইকেট নেয়া রিশাদ তৃতীয় ওভারে খরুচেশারজাহ গুটিয়ে যায় মাত্র ১১৭ রানে। ১২ রান তোলার পর দলটির উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। জনসন চার্লজ ফিরে যান ওয়াকার সালামখেইলের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপর সালামখেইল, হায়দার আলী ও নবিরা শারজাহর কোমর ভেঙে ফেলেন। ২২ রানের বিনিময়ে সালামখেইল নেন সিকান্দার রাজা, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ও হারমিত সিংয়ের উইকেট।নবির শিকার রিউ, ইথান ডিসুজা ও ওয়াসিম আকরাম। হায়দার আলী নেন টম ক্যাডমোর ও টম অ্যাবেলের উইকেট। মোস্তাফিজের দুই নম্বর শিকার হন আদিশ রশিদ। এর মাধ্যমে ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট হলো ফিজের। তার চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন সালামখেইল, ৭ ম্যাচে ১৫টি।শারজাহ গুটিয়ে যায় ১৭ ওভারের মধ্যে। এই জয় দুবাইকে নকআউটের দৌড়ে প্রথমদিকে রেখেছে, শারজাহ আছে সবার শেষে। ৭ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট দুবাইয়ের। ৬ পয়েন্ট করে আছে গালফ জায়ান্টস, এমআই এমিরেটস ও আবুধাবি নাইট রাইডার্সের। ১২ পয়েন্ট নিয়ে এরইমধ্যে নকআউট নিশ্চিত করেছে ডেজার্ট ভাইপারস।