ব্রাজিলে বাংলাদেশিদের জন্য দেড়শ স্কলারশিপের ব্যবস্থা, পড়ছেন মাত্র একজন!

ব্রাজিলে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ১৫০টি স্কলারশিপের সুযোগ দিয়েছে দেশটির সরকার। কিন্তু পড়ছেন মাত্র একজন। ভাষাগত জটিলতা আর ভৌগোলিক দূরত্বই অনাগ্রহের মূল কারণ। এই বাধা দূর করতে ঢাকায় শিগগিরই খুলছে পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র। পাশাপাশি দেশটির শিক্ষাব্যবস্থার অভিজ্ঞতা বিনিময়ে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত।ব্রাজিল মানেই ফুটবল; পেলে, রোনালদো কিংবা হালের নেইমারের জন্মভূমি। ফুটবল ছাড়াও দেশটির শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাত সমৃদ্ধ। কিন্তু সেসবের সুযোগ খুব একটা নিতে পারেনি বাংলাদেশ।ব্রাজিলের শিক্ষাব্যবস্থা বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। কিন্তু দেশটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে যেতে আগ্রহী নন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। এর পেছনে বড় কারণ ভাষাগত জটিলতা ও ভৌগোলিক দূরত্ব। ব্রাজিলের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশিদের জন্য দেড়শ স্কলারশিপের ব্যবস্থা থাকলেও পড়ছেন মাত্র একজন।ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসিলিয়ার শিক্ষার্থী মাসুক মনে করেন, পর্তুগিজ ভাষা শেখার সুযোগ পেলে ব্রাজিলে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী হবেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও।মুহতাসিম আজাদ মাসুক বলেন, ‘আমি কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স করতেছি। এখানে পড়াশোনার মানটা অনেক উন্নত। কোনো টিউশন ফি নেই, বরং আপনি ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট হিসেবে স্টাইপেন পাচ্ছেন। এরা ইউরোপ-আমরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কানেক্টেড।’আরও পড়ুন: স্কলারশিপ নিয়ে হার্ভার্ডে এমবিএ করার সুযোগ, যেভাবে আবেদন করবেনভাষা জটিলতা কাটিয়ে ব্রাজিলের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ সৃষ্টিতে ঢাকায় ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র খোলাসহ নানা উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।তিনি বলেন, ‘ব্রাজিল সরকার কিন্তু আমাদেরকে অনেকগুলো স্কলারশিপ অফার করে। কিন্তু ইউরোপ-আমরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো এগুলোর খুব একটা প্রচার নেই। এখানে বাধা হয়ে আছে ভাষা। তবে এ ভাষা জটিলতা কাটাতে ঢাকায় ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হবে।’ব্রাজিলের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে জানাতে বাংলাদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। এ লক্ষ্যে দেশটির কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।