কালজয়ী কণ্ঠের অনন্ত যাত্রা, স্মরণে মাহমুদুন্নবী

সময়ের সীমানা পেরিয়ে যিনি আজও গান হয়ে বেঁচে আছেন তিনি মাহমুদুন্নবী। আধুনিক বাংলা গানের স্বর্ণযুগের এই কিংবদন্তি শিল্পীর প্রয়াণের বহু বছর পেরিয়ে গেলেও তার কণ্ঠের মায়া, আবেগ আর সুরের গভীরতা এখনো শ্রোতার হৃদয়ে অম্লান। আজ তার মৃত্যুবার্ষিকী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা জায়গায় ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীরা গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করছেন মাহমুদুন্নবীকে। বাংলা সংগীতের ইতিহাসে মাহমুদুন্নবী এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার কণ্ঠে ছিল আবেগের গভীরতা, সুরের মাধুর্য আর গায়কীর অনন্যতা। ‘সালাম পৃথিবী’, ‘প্রেমের নাম বেদনা’, ‘আয়নাতে ওই মুখ’, ‘তুমি যে আমার কবিতা’, ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘ও মেয়ের নাম দেব কী’, ‘আমি ছন্দহারা এক নদীর মতো ছুটে যাই’- এমন অসংখ্য কালজয়ী গানে তিনি শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন।আরও পড়ুননির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে, হাসিনার ভয় এখনও সবার ভেতরে: নিপুণযেভাবে অভিনেত্রী থেকে নির্মাতা হয়েছেন আফসানা মিমি ষাট ও সত্তরের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রের গানে মাহমুদুন্নবী ছিলেন অবিচ্ছেদ্য এক নাম। রোমান্টিক হোক কিংবা বিষাদের গান; সবখানেই তার কণ্ঠে আলাদা এক আবেদন খুঁজে পেতেন শ্রোতারা। আধুনিক বাংলা গানের যে স্বর্ণযুগ, তার অন্যতম প্রধান প্রতিনিধি ছিলেন তিনি। মাহমুদুন্নবীর জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার কেতু গ্রামে। সংগীত ছিল তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পারিবারিক জীবনেও তিনি রেখে গেছেন সংগীতের উত্তরাধিকার। তার চার সন্তান কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী, সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী, শিল্পী রিদওয়ান নবী পঞ্চম ও তানজিদা নবী। তারা প্রত্যেকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে শিল্পচর্চার মাধ্যমে সেই ধারাবাহিকতাই বহন করে চলেছেন।চার সন্তানের সঙ্গে মাহমুদুন্নবী ১৯৯০ সালের ২০ ডিসেম্বর এই কিংবদন্তি শিল্পী না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। তবে মৃত্যুর তিন দশকেরও বেশি সময় পেরিয়েও তার গান বাজে রেডিওতে, ঘুরে বেড়ায় স্মৃতির অলিগলিতে, আর নতুন প্রজন্মের কাছেও পৌঁছে যায় মুগ্ধতা নিয়ে।   এলআইএ