সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) একাধিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে বড় পরিসরের হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়ার পালমিরা শহরে এক হামলা দুই মার্কিন সেনা ও একজন দোভাষী নিহত হওয়ার এক সপ্তাহ পর এই হামলা চালানো হলো।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ট্রাম্প শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে বলেন, ‘সিরিয়ায় সাহসী আমেরিকান দেশপ্রেমিকদের ওপর আইসিসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কারণে আমি ঘোষণা করছি যে, আমেরিকা আমার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, দায়ী খুনি সন্ত্রাসীদের ওপর অত্যন্ত গুরুতর প্রতিশোধ নিচ্ছে।’ অন্যদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, ‘হামলাগুলোতে আইএস যোদ্ধা, অবকাঠামো ও অস্ত্রাগার লক্ষ্য করা হয়েছে। অভিযানটির নাম ছিল ‘অপারেশন হকআই স্ট্রাইক’। এটি যুদ্ধের সূচনা নয়, এটি প্রতিশোধের ঘোষণা। আজ আমরা আমাদের শত্রুদের শিকার করেছি এবং হত্যা করেছি। আমরা তা চালিয়ে যাব।’ এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলে ৭০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। এ অভিযানে এফ-১৫ ও এ-১০ যুদ্ধবিমান, অ্যাপাচি হেলিকপ্টার এবং হিমার্স রকেট সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। বর্তমানে সিরিয়ায় প্রায় এক হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর তথ্য মতে, গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সিরিয়ার পালমিরা শহরে একটি হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও এক বেসামরিক দোভাষী নিহত হন। ওই হামলায় আরও তিনজন মার্কিন সেনা আহত হন। হামলাকারী মার্কিন ও সিরীয় বাহিনীর একটি কনভয় লক্ষ্য করে হামলা চালায় এবং পরে গুলিতে নিহত হয়। সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, হামলাকারী সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছিলেন এবং আইএসের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।