অ্যাডিলেড টেস্ট দিয়েই কি ইংল্যান্ডের জন্য আরেকটি অ্যাশেজ হার অপেক্ষা করছে? বাজবল বাহিনী প্রথম দুই ম্যাচে বিধ্বস্ত হয়েছিল; পার্থ ও ব্রিসবেনে দুই টেস্টেই হার ৮ উইকেটে। এই ম্যাচে হারলে ছাই দানা অধরা থাকার সময় আরও দীর্ঘ হবে। শেষবার তারা অ্যাশেজ জিতেছিল ২০১৫ সালে, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২০১১ সালে।ইংল্যান্ডের দিকে হারের পাল্লাই ঝুঁকে আছে। বেন স্টোকস বাহিনী চতুর্থ দিন শেষ করেছে ২০৭ রান নিয়ে। বিনিময়ে উইকেট হারিয়ে ফেলেছে ৬টি। পঞ্চম দিন কি ইংল্যান্ড ড্রয়ের জন্য খেলবে, না জেতার জন্য? ইংল্যান্ডের শেষ দুই স্বীকৃত ব্যাটার জেমি স্মিথ ও উইল জ্যাকস অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন। স্মিথ আগামীকাল মাঠে নামবেন ২ রান নিয়ে, জ্যাকস ১১। তাদের সামনে আরও ২২৮ রান করার চ্যালেঞ্জ।অ্যাডিলেডের উইকেটে আজই বলে টার্ন ধরেছে। যে কারণে ইংল্যান্ডের হারের সম্ভাবনাই বেশি দেখা হচ্ছে। তবে শেষের ৪ উইকেটে যদি ২২৮ রান করেই ফেলে, তাতে হয়ে যাবে বিশ্ব রেকর্ড। অস্ট্রেলিয়া টার্গেট দিয়েছিল ৪৩৫ রানের। এত রান তাড়া করে টেস্ট জয়ের নজির নেই। ২০০৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৪১৮ করে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।আরও পড়ুন: হজের সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডের রানপাহাড় ছোঁয়ার পথে উইন্ডিজবড় লক্ষ্য পেয়ে ইংল্যান্ড বাজবল অ্যাপ্রোচ থেকে সরে এসে খেলছিল। ৩১ রানের মধ্যেই বেন ডাকেট ও অলি পোপের উইকেট হারানোর পর ক্রিজে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন জ্যাক ক্রলি ও জো রুট। ক্রলির সঙ্গে ৭৮ রানের জুটির পর রুট আউট হন কামিন্সের ওভারে। ইংল্যান্ডের প্রথম তিনটি উইকেটই তিনি নেন, পরের তিনটি নাথান লায়ন।জ্যাক ক্রলি ও হ্যারি ব্রুক আবার খুঁটি গেড়েছিলেন। ৩০ রান করার পর লায়নকে রিভার্স সু্ইপ করতে গিয়ে বেল হারান ব্রুক। স্টোকস টিকেছিলেন মাত্র ১৮ বল। তার পরপর ক্রলিও সাজঘরে ফেরেন। ১৫১ বলে ৮ চারে ৮৫ রান করেন তিনি।