আরেকটি দুর্নীতি মামলায় ইমরান খান ও তার স্ত্রী’র ১৭ বছরের কারাদণ্ড

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে অন্য একটি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিলাসবহুল রাষ্ট্রীয় উপহার কম দামে কেনার দুর্নীতির মামলায় এই রায় দেয়া হয়। আদালত এবং খানের আইনজীবীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সর্বশেষ এই রায় ইমরান খানের একাধিক আইনি ঝামেলা আরও বাড়ালো। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে তিনি কারাগারে আছেন এবং ২০২২ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা কয়েক ডজন মামলা রয়েছে। যার মধ্যে দুর্নীতি থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবিরোধী এবং রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার অভিযোগ রয়েছে। তবে, ইমরান খান তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত মামলায় অন্যায়ের কথা অস্বীকার করেছেন, যা তার দল বলেছে যে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আরও পড়ুন:ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে দেশে ফেরার পরিকল্পনা দুই ছেলের খানের পারিবারিক আইনজীবী রানা মুদাসসার উমর উমর রয়টার্সকে জানান, ‘আদালত আসামিপক্ষের বক্তব্য না শুনেই সাজা ঘোষণা করেছেন এবং ইমরান খান এবং বুশরা বিবিকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড এবং মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে।’ আদালত জানিয়েছেন, বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে পাকিস্তানের দণ্ডবিধির অধীনে তাদের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুর্নীতিবিরোধী আইনের অধীনে আরও সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, পাশাপাশি প্রত্যেককে ১ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আরও পড়ুন:ইমরান খান ইস্যুতে ইলন মাস্কের কাছে যে আবেদন জানালেন সাবেক স্ত্রী মামলাটি সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের  সরকারী সফরের সময় খানকে উপহার দেয়া বিলাসবহুল ঘড়ির সাথে সম্পর্কিত, যা প্রসিকিউটররা জানান, ইমরান খান এবং তার স্ত্রী পাকিস্তানের উপহারের নিয়ম লঙ্ঘন করে রাষ্ট্র থেকে প্রচুর ছাড়ের মূল্যে উপহারগুলো কিনেছিলেন।