রাজশাহীতে হিমেল হাওয়ায় শীতের দাপট, জনজীবনে ভোগান্তি

পৌষের শুরুতেই উত্তরের জেলা রাজশাহীতে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে জেঁকে বসা শীতের সঙ্গে আজ সকাল থেকে যোগ হয়েছে ঘন কুয়াশা ও টানা হিমেল বাতাস। আকাশে হালকা কুয়াশা ও মেঘের কারণে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ফলে রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি কমে গেছে, অনেক দোকানপাটও খোলেনি।রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৬ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটার। এর আগে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে জেলায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। গত দুই দিন ধরে বাতাসের তীব্রতা বাড়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। নগরীর বুধপাড়া এলাকার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভোরে কাজে বের হবো ভাবছিলাম, কিন্তু উঠে দেখি বাতাস বইছে। কিছুক্ষণ থেমে সকাল ৭টার দিকে বের হয়েছি। বাতাসের কারণে টেকা কষ্টকর হয়ে গেছে। হাতে গ্লাভস না থাকলে ঠান্ডায় হাত জমে যায়।’ আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের রাজশাহী মহানগর অফিস গুড়িয়ে দিলো ছাত্র-জনতা স্কুলছাত্রী মাফিন জানায়, স্কুল বন্ধ থাকলেও কোচিংয়ের জন্য বের হতে হয়েছে। গতকাল শুক্রবারের চেয়ে আজ শনিবার শীত বেশি লাগছে। ঘন কুয়াশা না থাকলেও হিমেল হাওয়ার কারণে বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে শীতের তীব্রতায় নগর ও গ্রামের ছিন্নমূল এবং নিম্নবিত্ত মানুষ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। বিভিন্ন বস্তিতে আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করার চেষ্টা করছেন অনেকে। গরম কাপড়ের অভাবে তাদের ভোগান্তি বেড়েছে। অন্যদিকে শুষ্ক আবহাওয়া ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে বাড়ছে বায়ুদূষণ। এর প্রভাবে শিশু ও বৃদ্ধরা নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক রাজিব খান বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই রাজশাহীতে হিমেল হাওয়া বেড়েছে। শনিবার তাপমাত্রাও কিছুটা কমেছে। উত্তরের এই হিমেল হাওয়া আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে শীতের তীব্রতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’