ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় চাঁদপুরে ভোটের মাঠ বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে। জেলার চায়ের আড্ডা থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লা সর্বত্রই চলছে নবীন ও প্রবীণ ভোটারদের নানা হিসাব-নিকাশ। বিশেষ করে, এবারের নির্বাচনে নবীনরা তাদের জীবনের প্রথম ভোটটি এমন কোনো যোগ্য প্রার্থীকে দিতে চান, যিনি ‘নতুন বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবেন।নবীনদের পাশাপাশি পিছিয়ে নেই প্রবীণরাও। অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তারাও নতুন করে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে ব্যস্ত। অভিভাবকরাও নবীন ভোটারদের সাহস জোগাচ্ছেন। তবে ভোটারদের মনে আশার আলোর পাশাপাশি রয়েছে নানা শঙ্কাও। তাদের মূল প্রত্যাশা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, খাদ্য সংকট দূর করা এবং বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। চাঁদপুরের কচুয়ার সাচার থেকে ফরিদগঞ্জের চরমান্দারী, মতলব উত্তরের বদরপুর থেকে হাইমচরের চরভৈরবী এবং শাহরাস্তির দৈয়ারা থেকে সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর পর্যন্ত সর্বত্রই এখন একই আওয়াজ। ভোটাররা রাজনীতিতে নতুনত্ব আর গুণগত পরিবর্তন চান। তারা এমন নেতৃত্ব চান, যাদের হাত ধরে আগামী দিনে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ তৈরি হবে। আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে পৃথক ঘটনায় নারী-পুরুষের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার একসময় নদীবন্দর চাঁদপুরকে বলা হতো ‘পূর্ববঙ্গের প্রবেশদ্বার’। পদ্মা ও মেঘনার সুস্বাদু রূপালি ইলিশ আর ধান উৎপাদনের জন্য সমৃদ্ধ জনপদ এই জেলা। মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে চাঁদপুরের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে জেলার ৫টি সংসদীয় আসন এখন সরগরম। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যেই প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছে। গণসংযোগ করতে গিয়ে পুরো নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দল গোছাতে ব্যস্ত মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। ভোটারদের কাছে তারা দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। সড়ক, নৌ ও রেলপথে গোটা দেশের সঙ্গে চাঁদপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলেও স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও এখানে বড় ধরনের কোনো শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেনি। ফলে জেলার বেকারদের বড় একটি অংশের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়নি। এবারের নির্বাচনে তাই কর্মসংস্থান ও শিল্পায়নের দাবিটিই প্রধান হয়ে উঠছে। নির্বাচন কমিশনের সবশেষ তথ্যমতে, ১ হাজার ৭০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের চাঁদপুরে ৫টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৩৫ জন। এর মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১১ জন। ৫টি আসনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৭০৬টি।