যশোর জেলা যুবলীগ নেতা ও পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বহুল আলোচিত সাবেক কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে ঢাকার রামপুরা এলাকা থেকে তাকে ডিবির আটক করা হয়েছে। যশোর ডিবির ওসি মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আটক ‘টাক মিলন’ যশোর শহরের পুরাতন কসবার রোস্তম আলীর ছেলে। যশোর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ আলী জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেসব ঘটনায় মামলাও রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানারি আদেশ রয়েছে। ডিবির একটি টিম মিলনের অবস্থান শনাক্ত করে ঢাকা থেকে তাকে আটক করে।আরও পড়ুন: ডেভিল হান্ট ফেজ-২ / যশোরে আওয়ামী লীগের ১৫ নেতাকর্মী আটকএরআগে ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে সন্ধ্যায় দুবাই থেকে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে দেশে ফেরার পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। এছাড়া ২০২৪ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ অবস্থায় তিনজন সহযোগিসহ আটক হয় মিলন। তার নামে হত্যা, বিস্ফোরক আইনে অন্তত ১৪ টি মামলা রয়েছে। ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকার যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামি মিলন। এছাড়াও ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বাড়িতে বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন টাক মিলন। তার নেতৃত্বেই এই হামলা চালানো হয়েছিল বলে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। এছাড়া পালবাড়ির রয়েল কমিউনিটি সেন্টারে দীর্ঘদিন ক্যাসিনো (জুয়া) ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ ছিলো টাক মিলনের বিরুদ্ধে।