গাজায় আর দুর্ভিক্ষ নেই বলে ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ-সমর্থিত ক্ষুধা পর্যবেক্ষক সংস্থা। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এই ঘোষণা দেয় সংস্থাটি। অক্টোবরে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর উপত্যকায় মানবিক সাহায্য আসতে শুরু করেছে বলেও জানায় পর্যবেক্ষক সংস্থা।শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সিএনএনের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়। এতে বলা হয়, ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) বলেছে, ‘সংঘাত উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ার কারণে, প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা এবং মানবিক ও বাণিজ্যিক খাদ্য সরবরাহের যথেষ্ট সরবরাহ হওয়ায় গাজা উপত্যকায় খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এখন কোনো এলাকাতেই দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা নেই।’ আরও পড়ুন:গাজায় সহায়তা প্রবেশে বাধা, প্রচণ্ড শীতে জমে ফিলিস্তিনি নবজাতকের মৃত্যু এর আগে আগস্টে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা বলেছিল যে, গাজার কিছু অংশ মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হচ্ছে।তবে সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, এই উন্নতি সত্ত্বেও, গাজার বেশিরভাগ জনসংখ্যা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি হয়েছে। আইপিসি আরও বলেছে, ‘যদিও খাদ্য সহায়তাসহ মানবিক সহায়তা আগের চেয়ে বেড়েছে, তারপরও কেবল বেঁচে থাকার মৌলিক চাহিদা পূরণ হচ্ছে।’ এছাড়া আইপিসি সতর্ক করে দিয়েছে, যে কোনো সময় আবার উপত্যকায় দুর্ভিক্ষে হওয়ার ঝুঁকি রয়ে গেছে। তারা বলছে, ‘নতুন করে যুদ্ধ শুরু হলে এবং মানবিক ও বাণিজ্যিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে, উত্তর গাজা, গাজা গভর্নরেট, দেইর আল-বালাহ এবং খান ইউনিস ২০২৬ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখোমুখি হবে।’ এদিকে, আগস্ট মাসে ইসরাইল তীব্রভাবে গাজায় দুর্ভিক্ষের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছিল যে, তারা উপত্যকায় ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। আরও পড়ুন:সিরিয়ায় তিন মার্কিন নাগরিককে হত্যাকারী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছিলেন! এদিকে, গাজায় ত্রাণ বিতরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসরাইলি সংস্থা দ্য কোঅর্ডিনেশন অফ গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিজ ইন দ্য টেরিটরিজ জানিয়েছে, প্রতিদিন ৬০০-৮০০টি ত্রাণ ট্রাক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করে, যার মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ খাদ্য বহন করে।