কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে দেশকে অস্থিতিশীল দেখানোর অপচেষ্টা চলছে

দেশের গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এই নিন্দা ও উদ্বেগ জানায়। বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ধারাবাহিকতায় ছায়ানটে হামলা ও ভাঙচুর হয়। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যার পর উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কার্যালয়েও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এমএসএফ এক বিবৃতিতে জানায়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর প্রচারিত হওয়ার পরপরই যখন জুলাই আন্দোলনের নেতা, ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষ শাহবাগে সমবেত হয়ে শ্রদ্ধা ও বিচার দাবিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছিলেন ঠিক সেই সময় স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠী গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। সংগঠনটি মনে করে, সরকারের নীরবতা ও কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে একটি বিশেষ গোষ্ঠী সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণহীন রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এর লক্ষ্য আসন্ন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, বিশেষ করে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করা। একই সঙ্গে এ ধরনের সহিংসতা সমাজে আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি করছে যা মানবাধিকার ও সুশাসনের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। এমএসএফ আরও উল্লেখ করে, ব্যক্তি পর্যায়ে মতভিন্নতা থাকতেই পারে, কিন্তু কোনো অজুহাতে গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা মানে মুক্ত চিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত হানা। এটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ভয়ংকর অশনিসংকেত। বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান সরকার বারবার বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার গুরুত্বের কথা বললেও সাম্প্রতিক এসব ঘটনায় সরকারের নির্লিপ্ততা ও অকার্যকর ভূমিকা জনমনে সরকারের আন্তরিকতা ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) অবিলম্বে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত মব সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানায়। পাশাপাশি সাংবাদিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও সাংস্কৃতিক চর্চার স্বাধীনতা নিশ্চিত করাকে রাষ্ট্রের অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়। এসএম/এমআইএইচএস/জেআইএম