ধর্ষণের অভিযোগ মামলা করলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী

বিয়ের আশ্বাসে বরিশালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সুয়ান আল তালুকদার (২৪) নামে এক যুবককে আসামি করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী।মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন উল ইসলাম। তিনি জানান, এখনও ওই মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।মামলায় অভিযুক্ত আসামি সুয়ান আল তালুকদার বরিশাল নগরের কাউনিয়া থানাধীন মনষা বাড়ি তালুকদার ভিলার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর তালুকদারের ছেলে।থানায় দাখিলকৃত মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, বাদী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক কমিটির একজন নেত্রী। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর তার সঙ্গে অভিযুক্ত সুয়ানের পরিচয় হয়। যেখান থেকে বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে মামলায় অভিযুক্ত যুবক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এছাড়া গত ১১ অক্টোবর বরিশাল শহরের সদরোডস্থ একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। আর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে বিবাহের জন্য চাপ দিলে সুয়ান বাদীকে ঘোরাতে থাকে। পরবর্তীতে বিয়ের কথা বলে গত ১৭ ডিসেম্বর বেলা ১২টায় তরুণীকে নবগ্রাম রোডে নিয়ে যায় সুয়ান এবং জানায় সে বিয়ে করবে না।মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত সুয়ান হত্যার উদ্দেশ্যে তার মোটরসাইকেলের হেলমেট দিয়ে ভুক্তভোগীর মাথায় আঘাত করে, তবে তিনি মাথা সরিয়ে নিলে আঘাত মুখে লাগে এবং রক্তাক্ত জখম হন।আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ জন কারাগারেউল্লেখ্য, বিভিন্ন আন্দোলনে বরিশালে সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন সুয়ান। তার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলে গত আগস্টে পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করে। তবে কিছুদিনের মধ্যে তিনি জামিনে বের হন। ওই সময় সুয়ান নিজেকে জুলাই আন্দোলনের পক্ষের শক্তি দাবি করেন।যদিও দীর্ঘদিন পরে মামলার বাদী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে সুয়ানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেন যা গত ১৮ ডিসেম্বর বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। এর প্রেক্ষিতে সুয়ানও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বক্তব্য িলখিত আকারে তুলে ধরেন। তবে ওই দিনই সুয়ানের বিরুদ্ধে বাদীর দায়েরকৃত মামলাটি আমলে নেয় পুলিশ।