বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান এবং সাবেক মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকারের (এ কে খন্দকার) মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।শনিবার (২০ ডিসেম্বর) এক শোকবার্তায় মির্জা ফখরুল বলেন, এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে তার শোকাহত পরিবার-পরিজনদের মতো আমিও গভীরভাবে সমব্যথী। বিএনপি মহাসচিব বলেন, মুক্তিবাহিনীর উপ-প্রধান (ডেপুটি চিফ অব স্টাফ) মরহুম এ কে খন্দকার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম প্রধান ছিলেন। সাবেক এই এয়ার ভাইস মার্শাল গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ও সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদান রাখার জন্য ‘বীর উত্তম’ খেতাব এবং ২০১১ সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন। দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য ’৭১- এর মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য অবদানের জন্য তিনি জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আরও পড়ুন: বীর উত্তম এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোকবার্তা মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের প্রতি মমত্ববোধ ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য তার নিবেদিতপ্রাণ ভূমিকা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। পৃথিবী থেকে তার চিরবিদায়ে আমি ব্যথিত ও মর্মাহত হয়েছি। দোয়া করি, মহান রাব্বুল আলামীন যেন তাকে বেহেস্ত নসিব এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা দান করেন। বিএনপি মহাসচিব শোকবার্তায় এ কে খন্দকার বীর উত্তমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকার্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। আরও পড়ুন: ওসমান হাদির মৃত্যুতে ব্রিটিশ হাইকমিশনের শোক এ কে খন্দকার বার্ধক্যজনিত কারণে আজ সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।