অটোরিকশার ভাড়া নির্ধারণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড ও ভাড়া নির্ধারণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২০ জন আহত হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার স্বজনশ্রী ও বাউধরন গ্রামের লোকজনের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ পশ্চিম বাজার এলাকায় প্রায় ১৫ দিন আগে গাড়িস্ট্যান্ড কর্তৃপক্ষ রানীগঞ্জ থেকে বাউধরন রোডের অটোরিকশা ভাড়া ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা নির্ধারণ করে। এতে বাউধরন ও স্বজনশ্রী গ্রামের লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের পরিষদের সদস্য বাউধরন গ্রামের সালেহ উদ্দিন আহমদ গাড়ি ভাড়া পুনরায় ৩০ টাকা নির্ধারণ করেন। এতে আবার উভয় গ্রামের চালকদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ফলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে উভয়গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খাড়ারপার নামক জায়গায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জগন্নাথপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখনো কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, রানীগঞ্জ থেকে বাউধরন রোডের অটোরিকশা ভাড়া ৩০ টাকা দিয়ে আসছে এই গ্রামের মানুষ। যার সঙ্গে একমত পোষণও করেন ওই গ্রামের অটো চালকরা। কিন্তু স্বজনশ্রী গ্রামের অটোচালকরা ৪০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করতে চায়। যা নিয়ে মূলত দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। লিপসন আহমেদ/এনএইচআর/জেআইএম