সুদানের দক্ষিণ দারফুরের নিয়ালা শহর থেকে নয়জন স্বাস্থ্যকর্মীকে মুক্তি দিয়েছে প্যারামিলিটারী বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। তবে এখনও আটক রয়েছেন ৭৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক এ তথ্য জানিয়েছে। ডক্টরস নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, আরএসএফ নিয়ন্ত্রিত দাক্রিস ও কোবর জেল থেকে নয়জন স্বাস্থ্যকর্মীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারা মুক্তি প্রদানের পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে বর্ণনা করেছে। তবে একবারে সকল স্বাস্থ্যকর্মী ও নিরীহ নাগরিককে মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। নেটওয়ার্ক আরও জানিয়েছে, জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে বন্দিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের অনুমতি দিতে হবে এবং পরিবারের সদস্যরা এখনো তাদের প্রিয়জনের বিষয়ে কোনো তথ্য পাচ্ছেন না। সুদান ডাক্টরস নেটওয়ার্কের হিসাব অনুযায়ী, সুদানজুড়ে আরএসএফের হেফাজতে ১৯ হাজারের বেশি মানুষ আটক আছে। সুদানের ১৮টি রাজ্যের মধ্যে পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের সব রাজ্য আরএসএফ-এর নিয়ন্ত্রণে আছে। শুধুমাত্র নর্থ দারফুরের উত্তরের কিছু অংশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপরদিকে, সেনাবাহিনী দেশের বাকি ১৩টি রাজ্যের বেশিরভাগ অংশ ও রাজধানী খার্তুম নিয়ন্ত্রণ করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালের মধ্য এপ্রিল থেকে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলায় ১ হাজার ৮৫৮ জন নিহত এবং ৪৯০ জন আহত হয়েছেন। সম্প্রতি নিয়ালাতে ৭০ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রায় ৫ হাজার নিরীহ নাগরিক আটক রয়েছে। এই সংঘাতে সুদানজুড়ে মারা গেছে দেড় লাখের বেশি মানুষ। দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দেশে। প্রায় এক কোটি ২০ লাখ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এছাড়া শত শত নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, সুদানে বর্তমানে ৩ কোটি মানুষের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। এদের মধ্যে ৯৬ লাখ মানুষ দেশের ভেতরে বাস্তুচ্যুত, আর ৪৩ লাখ মানুষ পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে গেছে। এছাড়া তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে ৭ লাখের বেশি শিশু এবং ২৪ লাখের বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি কেএম