জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা রোববার (২১ ডিসেম্বর ২০২৫) থেকে শুরু হবে। ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্যদিয়ে এবারের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।মোট ৬ ইউনিটে পরীক্ষা নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়, যা ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবার ১ হাজার ৮৪২টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছেন মোট ২ লাখ ১৯ হাজার ৩৯৯ জন শিক্ষার্থী। এতে আসনপ্রতি লড়বেন ১১৯ জন পরীক্ষার্থী। গত বছরের মতো এ বছরও ভর্তি পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান অনুষদে ‘ডি’ ইউনিটে সর্বোচ্চ সংখ্যক পরীক্ষার্থী আবেদন করেছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যাতায়াত নিষেধসহ ভর্তি পরীক্ষা বিধিমালায় শিক্ষার্থীদের ৯টি নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের মানতে হবে ৯ নির্দেশনা ১. ওএমআর ফরমের বৃত্ত সাধারণ কালো বলপেন দিয়ে পূরণ করতে হবে। ওএমআর ফরম পূরণে ভুল হলে উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া পরীক্ষার্থীকে অতিরিক্ত ওএমআর করম দেয়া হবে না। ওএমআর ফরম ভাঁজ করা, কাটাকাটি করা, অবাঞ্ছিত দাগ দেয়া, স্টেপলার বা পিনআপ করা এবং ফরমের ওপর পানি ফেলা যাবে না।২. ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর, দিনের শিফট ও প্রশ্নপত্রের সেট কোড অবশ্যই ইংরেজিতে লিখতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ঘর যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। পরীক্ষা শেষে ওএমআর শিট ও প্রশ্নপত্র পরিদর্শকের কাছে জমা দিতে হবে।৩. পরীক্ষার্থীরা ডাউনলোডকৃত প্রবেশপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষার আসন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।৪. পরীক্ষা শুরুর নির্ধারিত সময়ের ন্যূনতম ১০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।   আরও পড়ুন: জাবি ক্যাম্পাসে রাত ১০টার পর যেকোনো অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ ৫. পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে ব্যাগ, বইপত্র, মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ক্যালকুলেটর কিংবা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। সময় দেখার জন্য পরীক্ষার হলে ঘড়ির ব্যবস্থা থাকবে।৬. পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।৭. ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ ৭ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।৮. ভর্তি পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সঙ্গে আনতে হবে।৯. রাজধানী ঢাকা থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এ জন্য যেসব পরীক্ষার্থী ঢাকা বা দূরবর্তী অন্য কোনো স্থান থেকে এসে পরীক্ষা দেবেন, তাদের যানজটসহ অপ্রত্যাশিত দুর্ভোগ এড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।