জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষ (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে রোববার (২১ ডিসেম্বর)। ‘সি’ ইউনিটের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে আগামী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এবারের ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম। এবার সাত ইউনিটের ১ হাজার ৮৪৪ টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষা দিবে ২ লাখ ১৯ হাজার ৩৯৯ জন। এতে এবার আসনের প্রতি লড়বেন ১১৯ জন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটে। এই ইউনিটে ৩১০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৭০ হাজার ২২০ জন শিক্ষার্থী। ফলে প্রতিটি আসনের জন্য লড়বেন ২২৭ জন, যা এবারের ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ। গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ এবং আইআইটিভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে ৪২৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৬০ হাজার ৩৫১ জন। এই ইউনিটে প্রতি আসনে লড়বেন ১৪২ জন। কলা ও মাণবিকী অনুষদ এবং তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটভুক্ত ‘সি’ ইউনিটে ৪৬৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৪৭ হাজার ৪৯৭টি। এই ইউনিটে আসনপ্রতি লড়বেন ১০১ জন। তুলনামূলক কম প্রতিযোগিতা হবে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে। এখানে ৩২৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ২০ হাজার ৫৮৩ জন। এ ইউনিটে প্রতি আসনে লড়বেন ৬৩ জন। বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত ‘ই’ ইউনিটে ২০০টি আসনের বিপরীতে ১১ হাজার ৬১২ জন আবেদন করেছেন। এই ইউনিটে আসনপ্রতি পরীক্ষার্থী ৫৮ জন। এছাড়াও নাটক ও নাট্যতত্ত্ব এবং চারুকলা বিভাগভুক্ত ‘সি১’ ইউনিটে ৬৪টি আসনের বিপরীতে ৩ হাজার ৭২৫ জন (আসনপ্রতি ৫৮ জন) এবং ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ-জেইউ) ইউনিটে ৫০টি আসনের বিপরীতে ৫ হাজার ৪১১ জন (আসনপ্রতি ১০৮ জন) শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। আগামীকাল ২১ ডিসেম্বর ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারের ভর্তি যুদ্ধ। এরপর ২২ ডিসেম্বর ‘বি’ ও ‘ই’ ইউনিট, ২৩ ডিসেম্বর ‘সি১’ ও ‘ডি’ ইউনিটের একাংশ এবং ২৪ ডিসেম্বর ‘ডি’ ইউনিটের বাকি অংশের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ ডিসেম্বর ‘এ’ ইউনিটের একাংশ ও আইবিএ-জেইউ এবং ২৯ ডিসেম্বর ‘এ’ ইউনিটের বাকি অংশের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম। প্রতিদিন একাধিক শিফটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষায় সার্বিক নিরাপত্তায় প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলমের সভাপতিত্বে ৪৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৫০ জন পুলিশ, ৬০ জন আনসার, ট্রাফিক পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।যেকোনো ধরনের জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স এবং মেডিকেল টিম মোতায়েন থাকবে বলেও জানানো হয়। মো. রকিব হাসান প্রান্ত/এনএইচআর/জেআইএম