কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের দেড় মাসেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি পণ্য সরবরাহ। প্রয়োজনমতো প্রবেশ পাস না পেয়ে ভেতরে ঢুকতে পারছেন না সিএন্ডএফ এজেন্টরা। এতে আর্থিক ক্ষতি মেনেই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। যদিও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, বেড়েছে পণ্য খালাসের পরিমাণ।ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আলফা এইট গেইট দিয়ে পণ্য খালাসে ব্যস্ত শ্রমিক-কর্মকর্তারা। ১৮ অক্টোবরের অগ্নিকাণ্ডে এ, বি, সি- এই গেইট বন্ধের পর আমদানি পণ্য সহজে কারখানায় পৌঁছে দিতে খোলা হয়েছে এই গেইটটি।এর আগে, সাময়িকভাবে ৯ নম্বর দিয়ে সবপণ্য ছাড় করা হলেও বর্তমানে হচ্ছে শুধু আন্তর্জাতিক কুরিয়ারে আসা পণ্য-ডকুমেন্টস-স্যাম্পল।সাময়িক এসব উদ্যোগে পণ্যজট কমলেও আগের মতো পাস না পাওয়ায় পণ্য বুঝে পেতে ৩-৪ দিন বেশি সময় লাগছে বলে অভিযোগ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের।এতে আর্থিক ক্ষতি মেনেই আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে বলে দাবি ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের।আরও পড়ুন: স্বস্তি ফিরছে সবজির বাজারে, কমেছে পেঁয়াজের দামওবিটিএমএর সহ-সভাপতি সালেউদ জামান খান বলেন, ‘ইম্পোর্টের যে পণ্যগুলো এয়ারপোর্ট দিয়ে আসে, সেগুলোর আর্জেন্সি থাকে।’বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ২৪ ঘণ্টা পণ্য খালাসের সুযোগ রাখা হলেও মধ্যরাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত পণ্য বুঝে নিচ্ছেন না আমদানিকারকরা। এতে কার্গো এলাকায় বাড়ছে আমদানি মালামালের পরিমাণ। যা মানছেন এজেন্টরাও।হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদ বলেন, ‘সিভিল এভিয়েশন তাদের দিক থেকে যা করার সেটা করেছে। বিমান কর্তৃপক্ষ তাদের কার্গো হ্যান্ডেলার রেখেছে এবং কাস্টমস থেকেও ইন্সপেক্টর রেখেছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, রাত ১০টার পর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কেউ কার্গো রিসিভ করছে না, অথচ আমরা সার্ভিস রেখেছি ২৪ ঘণ্টা।’এনবিআরের তথ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সমুদ্র, বিমান ও স্থলবন্দর দিয়ে দেশে সাড়ে ৬ হাজার কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। এরমধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে এসেছে ৪১০ কোটি ডলারের পণ্য।