চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলাম ওরফে বুইশ্যাকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে নগরের দুই নম্বর গেট এলাকার ফিনলে স্কয়ার মার্কেটের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার বুইশ্যা (৩৫) ভোলা জেলার দৌলতখান থানার ভাণ্ডারী বাড়ির মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার পশ্চিম ষোলশহর এলাকার বদিউল আলম গলিতে বসবাস করছিলেন। র্যাব-৭ চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মো. মিজানুর রহমান বলেন, বুইশ্যাকে গ্রেফতারে দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা নজরদারি চালানো হচ্ছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, তিনি মোটরসাইকেলে করে ফিনলে সাউথ সিটি শপিং মল এলাকায় আসছেন। সে অনুযায়ী র্যাবের একটি দল সেখানে অবস্থান নেয়। মো. মিজানুর রহমান আরও জানান, র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বুইশ্যা পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে ধরতে গেলে তিনি ধস্তাধস্তি করে সঙ্গে থাকা অস্ত্র বের করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে র্যাব সদস্যরা তাকে নিরস্ত্র করার সময় তিনি পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। পরে তাকে গ্রেফতার করে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপরাধজগতের পরিচিত নাম বুইশ্যা র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, শহিদুল ইসলাম ওরফে বুইশ্যা শিক্ষাজীবনে প্রাথমিক স্তরও সম্পন্ন করতে পারেননি। অপরাধজীবনের শুরুতে তিনি চুরি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়ান। পরে মাদক কারবারে যুক্ত হয়ে একপর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কিশোর গ্যাং গড়ে তুলে চাঁদাবাজি ও মাদক কারবারের মাধ্যমে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করেন। এ উদ্দেশ্যে প্রায় ৩০ জনের একটি সশস্ত্র দল গড়ে তোলেন তিনি। চাঁদা আদায় ও প্রভাব বিস্তারে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়া ছিল তার বাহিনীর নিত্যদিনের ঘটনা। র্যাব জানায়, বহদ্দারহাট এলাকায় তিনি একটি ‘টর্চার সেল’ গড়ে তুলেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ এলাকার মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম ছিল এই সন্ত্রাসী বুইশ্যা। এমআরএএইচ/এমএমকে/এএসএম