ঢাকা-৬ আসনের দল মনোনীত প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে কোটি মানুষের গণসংবর্ধনার মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হবে। বলেন, তার নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। জনগণ বুক পেতে দিয়ে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। কোটি কোটি বুক ভেদ করে এমন কোনো শক্তি নেই, যা আমাদের নেতার ক্ষতি করতে পারবে।রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর গোপীবাগে জিয়া মাঠের পাশে নাজমা টাওয়ারে ওয়ারী থানার ৩৯নং ওয়ার্ড মহিলা দলের উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। জনগণ বুক পেতে দিয়ে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। কোটি কোটি বুক ভেদ করে এমন কোনো শক্তি নেই, যা আমাদের নেতার ক্ষতি করতে পারবে। নারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয় এথা জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট ভোটারের প্রায় ৫২ শতাংশ নারী। তাই নারীরা ভোটাধিকার চর্চায় এগিয়ে এলে রাষ্ট্র পরিচালনায় বড় পরিবর্তন আসবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে নারীদের জন্য বিশেষ আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে দগ্ধ স্মৃতিকে দেখতে হাসপাতালে রিজভী ইশরাক হোসেন আরও বলেন, বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির আওতায় নিম্নবিত্ত ও প্রান্তিক পরিবারের জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালু করা হবে, যা পরিবারের গৃহিণীর নামে ইস্যু করা হবে। এতে নারীরা আর্থিকভাবে ক্ষমতায়িত হবে। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দেশ পরিচালনা করবে। ভোট কারচুপি রোধে এজন্য দলীয়ভাবে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষভাবে নারী ভোটকেন্দ্রে শুধু নারী পোলিং এজেন্ট নিয়োগের সিদ্ধান্তের কথাও উল্লেখ করেন। ইশরাক হোসেন আওয়ামী লীগের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, বিগত ১৭ বছরে দেশে ভোটের অধিকার ধ্বংস করা হয়েছে। দিনের ভোট রাতে হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ এখন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল নয় বরং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে লুটপাট ও পাচার হওয়া অর্থ বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ আবার অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। ইশরাক বলেন, হাদিকে কেন আজ এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে শাহাদাত বরণ করতে হয়েছে? বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জনগণের অধিকার, ন্যায় ও ইনসাফের রাজনীতির পক্ষে তিনি ছিলেন আপসহীন। বিশেষ করে ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী ভূমিকায় তিনি ছিলেন অত্যন্ত সোচ্চার। এই অবস্থানটি অনেকেই ভালোভাবে নিতে পারেনি বরং অনেকের কাছে মনে হয়েছে আগামী দিনে তিনি হয়তো একটি বড় হুমকিতে পরিণত হতে পারেন। সেই কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। আরও পড়ুন: মবোক্রেসি দেখতে চাই না, কঠোর হস্তে দমন করতে হবে: সালাহউদ্দিন তিনি বলেন, আমি বলতে চাই, হাদিরা কখনো মরে না। একজন হাদি শহীদ হলে লাখ হাদি জন্ম নেয়। হাদির একটি বক্তব্যে আপনারা দেখবেন, তিনি বলেছেন—তার রাজনৈতিক অনুপ্রেরণা ছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সেই আদর্শ অনুসরণ করেই তিনি তার রাজনীতি পরিচালনার চেষ্টা করেছেন। নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপসহীন একজন মানুষ। তার কোনো দুর্নাম ছিল না, কোনো বিতর্কিত বিষয়ও ছিল না। হাদিকে হত্যা করে আওয়ামী লীগ তাদের রাজনীতিতে শেষ পেরেক ঢুকেছে। ঢাকা–৬ আসনের ভোটারদের উদ্দেশে ইশরাক হোসেন বলেন, আমি আপনাদের এলাকার সন্তান। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে যেতে পারলে এলাকার সব সমস্যা গ্যাস, জলাবদ্ধতা, ময়লা-আবর্জনা ও নাগরিক সেবা নিয়ে জোরালো ভূমিকা রাখবো। বিশেষ অতিথি ওয়ারী থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদ আরিফ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মুকীতুল আহসান রঞ্জু, ওয়ারী থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা সেলিম, মেহেদী হাসান লিটু, সৈয়দ মাসুদ রেজা সুমন,তবারক হাসান, ৩৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল লিটন, ওয়ারী থানা মহিলা দলের সভানেত্রী সোনিয়া মাওলা, সদস্য সচিব সোনিয়া হক, ৩৯ নং ওয়ার্ড মহিলা দলের প্রস্তাবিত সভানেত্রী শাহানাজ মুক্তা সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।