গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারী জুলাই শহীদদের স্মরণে বগুড়ায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি। শহীদদের আত্মত্যাগ চিরস্মরণীয় করে রাখতে উন্মোচন করা হয়েছে আধুনিক ডিজিটাল স্মৃতিস্তম্ভ।রোববার (২১ ডিসেম্বর) গণঅভ্যুত্থানে জীবন দেয়া জুলাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বগুড়ায় ২০টি ডিজিটাল স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন করা হয়েছে। শহীদদের রক্তে লেখা ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ। বগুড়া–৬ আসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপিত এ ডিজিটাল স্মৃতি স্তম্ভে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে ডিজিটাল কনটেন্ট, ভিজ্যুয়াল এবং ঐতিহাসিক বার্তা সংরক্ষিত থাকবে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ডিজিটাল স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে বগুড়া শহরের কেন্দ্রবিন্দু সাতমাথা ও সরকারি আজিজুল হক কলেজসহ ২০টি স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষের জন্য ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা চালু করা হয়েছে। বগুড়ার আরও ৪০টি স্থানে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ডিজিটাল স্মৃতিস্তম্ভ ও ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা চালু করা হবে। আরও পড়ুন: অতীতের মতো দেশকে ধ্বংসের কিনারা থেকে রক্ষা করবে বিএনপি: তারেক রহমান উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। এ সময় তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশকে ধ্বংসের কিনারা থেকে বের করে এনেছিলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে স্বৈরাচারের কবল থেকে দেশকে রক্ষা করে ধীরে ধীরে ধ্বংসের কিনারা থেকে উন্নয়নের পথে নিয়েছিলেন। আমাদের হাতে আবারও সুযোগ এসেছে। আরও পড়ুন: বগুড়ায় তারেক রহমানের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শহীদ ওসমান হাদির কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ওসমান হাদি গণতন্ত্রের পক্ষে ছিলেন, তিনিও গণতন্ত্র ও ভেটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন বলেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। ওসমান হাদি, জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও যোদ্ধাসহ ৭১ সালে শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রাখতে দেশের জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।