প্রতিদিন পাঠকের কাছে দেশের আলোচিত ঘটনা, রাজনৈতিক উত্তাপ, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, সমাজের পরিবর্তন এবং বিশ্বমঞ্চের নতুন বার্তা তুলে ধরে সংবাদপত্রগুলো। তথ্যপিপাসুদের তথ্যের চাহিদা মেটাতে সময় সংবাদ দেশের প্রধান প্রধান সংবাদপত্রের গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম পাঠকের সামনে তুলে ধরছে। এক নজরে জেনে নিন দেশের প্রধান সংবাদপত্রগুলোর প্রতিবেদন।দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় পত্রিকায় সোমবার (২২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত কিছু খবর নিচে তুলে ধরা হলো। ঘোষণা দিয়ে নাশকতা, আগেই কেন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না - দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পর গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা দিয়ে দুটি পত্রিকা, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ও ছায়ানটে হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু হামলাকারীদের নির্বৃত্ত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তেমন কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যায়নি। ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হাজির হয়েছে। ঘোষণা দিয়ে নাশকতার করা হলেও আগে থেকে কেন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি? এই ধরনের ঘটনার জন্য কি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত ছিল না? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্রই এখন এই আলোচনা হচ্ছে। ঘোষণা দিয়ে যে নাশতা, সেটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চাইলে কি আগে থেকে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারত না? জানতে চাইলে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ যে ব্যবস্থা নেয়নি, বিষয়টি এমন নয়। তবে আপনাদের বুঝতে হবে এতদিন মানুষ যে ধরনের পুলিশিং দেখে আসছে, এখন আমরা সেই ধরনের পুলিশিং করছি না। আমরা জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। নিরাপত্তা-উদ্বেগ বাড়ছে, বৈধ অস্ত্র নিয়েও শঙ্কা - দৈনিক সমকালের প্রধান খবর এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি চোরাগোপ্তা হামলা, খুনোখুনি এবং একাধিক নির্বাচন কার্যালয়ে নথিপত্র পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও আবার আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করছে দুর্বৃত্তরা। ককটেল নিক্ষেপ এবং গাড়িতে অগ্নিসংযোগও করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা ও সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রার্থীদের নিরাপত্তায় আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার নতুন নীতিমালা জারির মধ্য দিয়ে সেই উদ্বেগ আরও বাড়ছে। নির্বাচনের সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে হাতে থাকলে পরিস্থিতি ভীতিকর হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। ব্যাংকে ‘খুনি’র ১২৭ কোটি লেনদেন! - দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান সংবাদ এটি। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন পেয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হাদি হত্যায় করা মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হাদিকে হত্যা করা হতে পারে। গতকাল রবিবার রাত ৮টা পর্যন্ত হাদি হত্যার মূল অভিযুক্ত ‘শ্যুটার’ ফয়সাল করিম মাসুদকে গ্রেফতার করা যায়নি। তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা - দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে নিরাপত্তার বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি দলীয়ভাবেও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে বিএনপি। এর অংশ হিসাবে ঢাকায় ফেরার পর তারেক রহমানের নিরাপত্তায় চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স-সিএসএফ কাজ করবে। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সিএসএফ পুনর্গঠন করা হয়েছে। সিএসএফের সদস্য সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। দলীয়ভাবেও দশ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত করা হচ্ছে, তারাও শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে। এদিকে তারেক রহমানের দেশে ফেরার জন্য নির্ধারিত লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট থেকে দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিরাপত্তা, অস্ত্রের লাইসেন্স চেয়ে আবেদন ১৫ রাজনীতিবিদের - দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান খবর এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাঠপর্যায়ে যৌথ অভিযান - দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান খবর এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে আস্থার পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে শিগগির মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অপারেশন পুনরায় চালু হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‘আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, এখন থেকে মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অপারেশন পুনরায় চালু হবে। যৌথ বাহিনীর অপারেশনের অন্যতম লক্ষ্য হবে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা। সার্বিকভাবে, সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে একটা আস্থার পরিবেশ তৈরি করা। এলাকাভিত্তিক চেকপয়েন্ট অপারেশনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। যেসব এলাকায় অস্ত্রের আনাগোনা আছে মর্মে জানা যায়, ওইসব এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে বলা হয়েছে।’ বাংলাদেশের সংযুক্তি অনিশ্চয়তার মুখে - দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান খবর এটি।প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধ, ভারত-পাকিস্তান বৈরিতা এবং সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক টানাপড়েন—এ বহুমাত্রিক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কে বাংলাদেশের সংযুক্তি এখন বড় অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। যদিও গত দেড় দশকে এ বহুপক্ষীয় নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে রেল অবকাঠামো উন্নয়নে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বাংলাদেশ। তবে এ অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক টানাপড়েন ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে রেল অবকাঠামোয় করা বিপুল বিনিয়োগ থেকে প্রত্যাশিত আঞ্চলিক সংযোগ ও বাণিজ্যিক সুফল আদৌ পাওয়া যাবে কিনা—তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ভারতকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ট্রানজিট ও করিডোর-নির্ভরতার বাস্তবতায় দুই দেশের সম্পর্কে টানাপড়েন বাড়লে শুধু বাংলাদেশের সংযুক্তিই নয়, বরং ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের পুরো কাঠামোই কার্যকর বাস্তবায়ন অনিশ্চয়তায় পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।