মার্কিন সুদের হার আরও কমানোর ক্রমবর্ধমান প্রত্যাশা এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থলের চাহিদার কারণে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। এর সঙ্গে যোগ দিয়েছে রুপাও, যা এবার ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে পৌঁছেছে।বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (২২ ডিসেম্বর) স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম ১.২ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার ৩৯১.৯২ ডলার প্রতি আউন্সে পৌঁছেছে। একই সময়ে স্পট রুপার দাম ২.৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সে পৌঁছেছে ৬৯.২৩ ডলারে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত বুলিয়নের দাম ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা একাধিক রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ১৯৭৯ সালের পর এটি তার বৃহত্তম বার্ষিক লাভের পথে রয়েছে। রুপার দামও শক্তিশালী বিনিয়োগ প্রবাহ এবং ক্রমাগত সরবরাহ সীমাবদ্ধতার কারণে গত বছরের তুলনায় ১৩৮ শতাংশ বেড়েছে, যা স্বর্ণকে ছাড়িয়ে গেছে। আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড স্টোনএক্সের সিনিয়র বিশ্লেষক ম্যাট সিম্পসন বলেন, ‘ডিসেম্বর সাধারণত স্বর্ণ ও রুপার জন্য ইতিবাচক মাস। এই সময়ে স্বর্ণের দাম এরমধ্যেই ৪ শতাংশ বেড়েছে। বছরের শেষের দিকে বিনিয়োগকারীরা সাবধানভাবে পদক্ষেপ নেবে, কারণ মুনাফা অর্জনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’ ঐতিহ্যগতভাবে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত স্বর্ণকে ভূ-রাজনৈতিক ও বাণিজ্য উত্তেজনা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রয় এবং আগামী বছরে কম সুদের হারের প্রত্যাশা সমর্থন করেছে। ডলারের নরম হওয়াও বিদেশি ক্রেতাদের জন্য ধাতুটিকে সস্তা করে তুলেছে। ফেডারেল রিজার্ভ সতর্কতা দিলেও বাজার এরমধ্যেই আগামী বছরের জন্য দুটি মার্কিন সুদের হার কমানোর জন্য মূল্য নির্ধারণ করছে। স্বর্ণের মতো অ-ফলনশীল সম্পদ কম সুদের হারের পরিবেশে লাভবান হওয়ার প্রবণতা রাখে। আরও পড়ুন: রেকর্ড উচ্চতায় রুপার দাম, নেপথ্যে কী? সিম্পসন আরও জানান, ২০২৬ সালে দুটি ফেড সুদের হার কমালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থানের গতি দ্রুততর হবে এবং এর ফলে স্বর্ণের দাম আরও বাড়তে পারে। অন্যদিকে, প্লাটিনামের দাম ৪.১ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৫৪.২৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা ১৭ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। প্যালাডিয়ামের দামও ৪ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৭৮১.৩২ ডলারে পৌঁছেছে, যা প্রায় তিন বছরের সর্বোচ্চ।