ঢাকা-১১: আর্থসামাজিক উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছেন বাসিন্দারা

ভোটের হাওয়া বইছে শহর থেকে গ্রামে। ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া তরুণদের দল এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। লড়বেন বিএনপির ড. এম এ কাইয়ুম এবং জামায়াতের অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান। নির্বাচন ঘিরে আর্থসামাজিক উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছেন বাসিন্দারা।সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-১১ আসনের বাড্ডার সাঁতারকুল রোডের অলিগলি খানাখন্দে ভরা, হাঁটাই যেন দায়। ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে জননিরাপত্তা। অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় নাগরিক ভোগান্তি চরমে। শাহজাদপুরেও খাল থেকে নিরাপদ থাকতে নেই কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা। আর এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। যদিওবা কখনো কোনো সড়কে সংস্কার কাজ চলে, স্থবির হয়ে পড়ে জনজীবন। মূল সংযোগ সড়কে করা হয় অটো স্ট্যান্ড। রামপুরা, বাড্ডা ও ভাটারার অলিগলি ঘুরে দেখা যায়, অনেক সড়কের চিত্রই এমন। রামপুরার আফতাবনগরেও যেন সমস্যার শেষ নেই। মূল সড়কেই সিটি করপোরেশনের ময়লার ভাগাড়। পাশের খালটিও পরিষ্কার করা হয় না দীর্ঘদিন। স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অস্বস্তিতে এলাকাবাসী। আরও পড়ুন: ঢাকা-১০: ধানমন্ডির মতো উন্নয়নের আসা দেখছেন কামরাঙ্গীরচরবাসী বনশ্রী ও আফতাব নগরে সংযোগ স্থাপনে ব্যবহার হচ্ছে বাঁশের সাঁকো, যা স্কুলগামী শিশু থেকে শুরু করে সবার জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। স্থানীয়রা বলছেন, এখানে দুর্গন্ধ আর মশায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠার অবস্থা। স্কুলগামী শিশুদের চলাফেরা, রোগীদের হাসপাতালে নিতে খুব অসুবিধা হয়। অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে। এটা থেকে পরিত্রাণের জন্য কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।   বাড্ডার বেরাঈদ এলাকার ৪২নং ওয়ার্ড ইউনিয়ন পরিষদ যুক্ত হয়েছে সিটি করপোরেশনে। তবে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। এখনও আসেনি গ্যাস সংযোগ। দখল-দূষণে মৃত খাল, অনেকেই জীবিকা হারিয়ে জড়িয়েছে মাদক কারবারে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতিসহ সব খাতই ঢেলে সাজানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। চাঁদাবাজি ও মাদকমুক্ত জনপদ, নিরাপদ সড়ক, জলাবদ্ধতামুক্ত নগর গড়ার অঙ্গীকার তাদের। আরও পড়ুন: ঢাকা-৫ আসনে ‘পাহাড়সম’ সমস্যা, প্রার্থীরা দিচ্ছেন ‘রূপান্তরের’ প্রতিশ্রুতি এ বিষয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ড. এম এ কাইয়ুম বলেন, সোসাইটির মাধ্যমে আমরা তাদের এনে ওরিয়েন্টেশন করছি। এছাড়া আমার পরিকল্পনা আছে, আগামী দিনে ময়লা যাতে রাস্তায় একটা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা হয়, সেই ব্যবস্থা করা হবে। সোসাইটির মাধ্যমে আমরা এটা করবো। এছাড়া সাঁকো থাকবে না। এখানে সব ব্রেইলি ব্রিজ করে দেয়া হবে। এরইমধ্যে টেন্ডার হয়ে গেছে। জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান বলেন, ‘পার্কের মতো কিছু বিনোদনের জায়গা বেদখল হয়ে আছে। এগুলোকে আমরা দখলমুক্ত করবো। যেসব পরিবার সমস্যার মধ্যে আছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে ওয়ার্ডভিত্তিক রেশনকার্ড দেয়া হবে।’     চার লাখের বেশি ভোটার রয়েছে ঢাকা-১১ আসনে, যেখানে পুরুষ ও নারী ভোটারের সংখ্যা প্রায় কাছাকাছি।