ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় জয়ে সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড

৯৮১ বল বা ১৬৩.৩ ওভার। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের শেষ ইনিংসে এই লম্বা সময় ব্যাট করে ম্যাচ ড্র করেছিল ৫৩১ রানের লক্ষ্য পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জাস্টিন গ্রিভস একাই খেলেছিলেন ৬৪.৪ ওভার, টেলএন্ডার কেমার রোচ মোকাবিলা করেছিলেন ৩৮.৫ ওভার। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ৪৬২ রানের লক্ষ্য পেয়েও সেরকম করতে চেয়েছিল তারা। পারল না কিউই পেসার জ্যাকব ডাফির কারণে।নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি জিতেছে ৩২৩ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে শুধু রানের হিসাবে এটা তাদের সবচেয়ে বড় জয়। আগেরটি ছিল ২০৪ রানে। এই জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতল তারা, প্রথম ম্যাচে ড্রয়ের পর দ্বিতীয়টি জিতেছিল ৯ উইকেটে। ম্যাচসেরা হয়েছেন দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা ডেভন কনওয়ে। সিরিজসেরা ডাফি।বে ওভালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পঞ্চম দিনের শুরুটা করেছিল ভালো অবস্থানে থেকে। ৪৬২ রানের লক্ষ্য পাওয়া দলটি আগের দিন বিনা উইকেটে তুলেছিল ৪৩ রান। জন ক্যাম্পবেল ও ব্রান্ডন কিংয়ের ওপেনিং জুটি চলছিল দুই বিপরীত মেরু দিয়ে। ব্রান্ডন দ্রুত রান তুলতে থাকলেও রানপাহাড় বিবেচনায় ক্যাম্পবেল খেলার চেষ্টা করছিলেন ম্যারাথন ইনিংস। একশর বেশি বল খেলে ফেলার পরও তার রান দশের ঘরে থাকা তাই প্রমাণ করে। কিং দলীয় ৮৭ রানে আউট হওয়ার পরই দ্রুত আরও কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।আরও পড়ুন: ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লিগ আয়োজনের ঘোষণা আফগানিস্তানেরকিং বিদায় নিলে একই ওভারে ক্যাম্পবেল এজাজ প্যাটেলের বলে গ্লেন ফিলিপসকে ক্যাচ দেন। প্রথম ইনিংসর সেঞ্চুরিয়ান কাভেম হজ রানের খাতাই খুলতে পারেননি, এরপর শুরু হয় শাই হোপের টিকে থাকার লড়াই। অন্যপ্রান্তে ঠিকই তরতর করে উইকেট পড়ছিল। অ্যালিক আথানাজ ২, গ্রিভস শূন্য ও রোস্টন চেজ আউট হন ৫ রানে। ৭৮ বল খেলে মাত্র ৩ রান করা হোপ এজাজের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন।কেভিন ইলম্যাচ চেষ্টা করেছিলেন, রোচ আউট হয়ে গেলে অ্যান্ডারসন ফিলিপও। ৩৮ বল খেলে ১০ রান করে ফিলিপের ক্যাচ শর্ট লেগে ধরেন রাচিন রবীন্দ্র। ততক্ষণে ওভার নেমে আসে বিশের ঘরে। শেষ ব্যাটার হিসেবে জায়দেন সিলস আউট হয়ে গেলে ক্যারিবীয়দের হারই বরণ করতে হয়। ডাফি একাই নেন ৫ উইকেট, এজাজ প্যাটেল ৩।