বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সদ্য গঠিত ইন্টেগ্রিটি ইউনিটের স্বাধীন চেয়ারম্যান অ্যালেক্স মার্শাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) আসন্ন বিপিএল নিয়ে করণীয় নির্ধারণে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান সিবগত উল্লাহর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি-ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিপিএল শুরু হওয়ার কথা ২৬ ডিসেম্বর।২০১২ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকেই বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ কোনো নতুন ঘটনা নয়। লিগটি একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছে, যেখানে স্পট ফিক্সিং ও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ঘটনা সামনে এসেছে।২০১৩ সালের বিপিএলে ম্যাচ ও স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে বাংলাদেশ সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলকে বিপিএলের দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনাল আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে (এর মধ্যে তিন বছর স্থগিত ছিল)। একইসঙ্গে ওই ঘটনার পর ২০১৪ সালের বিপিএল আসর স্থগিত করতে বাধ্য হয় বিসিবি।সাম্প্রতিক সময়ে বিসিবি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সাবেক গ্লোবাল ক্রিকেট অ্যান্টি-করাপশন ইউনিটের (এসিইউ) প্রধান অ্যালেক্স মার্শালকে এক বছরের জন্য পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়, যাতে তিনি বোর্ডের নিজস্ব দুর্নীতি দমন কার্যক্রম তদারকি করেন। পরবর্তীতে তাকে বিসিবির ইন্টেগ্রিটি ইউনিটের চেয়ারম্যান করা হয়।আরও পড়ুন: ঢাকা ক্যাপিটালসের অধিনায়ক মিঠুনগত বিপিএলে ব্যাপক ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগের পর গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির জমা দেওয়া ৯০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নিলাম থেকে নয়জন ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে মার্শাল আলোচনায় আসেন।মার্শাল বারবার বলেছেন, বিপিএলকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে তিনি কোনো কিছুতেই ছাড় দেবেন না। সিবগত উল্লাহ জানান, সেই অঙ্গীকারের অংশ হিসেবেই মার্শাল অন্যান্য বিসিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সিআইডিতে এই সফর করেন।রোববার (২১ ডিসেম্বর) সিআইডি প্রধান সিবগত উল্লাহ ক্রিকবাজকে বলেন, 'হ্যাঁ, আমরা পুরো বিসিবি দলের সঙ্গে বসেছি। তাদের আইনি টিমও সেখানে ছিল—আমরা সবাই একসঙ্গে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করছি। আমাদের সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি)-এর সঙ্গে যুক্ত সিআইডি কর্মকর্তারাও এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছেন।'আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রেকর্ড করে সিরিজ জয় নিউজিল্যান্ডেরতিনি আরও বলেন, 'আমি বিস্তারিত বলব না, তবে কিছু আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও প্রোটোকল রয়েছে। আমরা সেগুলো অনুসরণ করার চেষ্টা করছি। তিনি তো মূলত আইসিসি থেকে এসেছেন, তাই না? আমাদের সিপিসির সাইবার পুলিশিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে আমরা দেখছি—আমরা কোন অবস্থানে আছি, কোথায় যেতে চাই, কোথায় ধূসর জায়গা আছে, কী কী ঘাটতি ও দুর্বলতা রয়েছে—এসব চিহ্নিত করে একটি কাঠামো দাঁড় করানোর চেষ্টা করছি।''আমাদের লক্ষ্য হলো এসব ঘাটতি পূরণ করা, যাতে ক্রিকেট—যা আমাদের আবেগ ও ভালোবাসার জায়গা—যথাসম্ভব পবিত্র থাকে এবং এর ওপর কোনো কালো দাগ না লাগে। এই উদ্দেশ্যেই সিআইডি অ্যালেক্স ও বিসিবির সঙ্গে একযোগে কাজ করছে,'–সিবগাত উল্লাহ ইতি টানেন।