পুলিশ অ্যাকশনে গেলে গুলি হতো, দুই-চারজন মারা যেত

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ অ্যাকশনে গেলে গুলি হতো, দুই-চারজন মারা যেত। এরপর পুলিশের ওপর পাল্টা আক্রমণ হতো। এ কারণে সেদিন পুলিশ অ্যাকশনে যায়নি। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রথমে প্রথম আলো ভবন, পরে ডেইলি স্টারে হামলা। এরপর উদীচীতে হামলা হলো; এসব ঘটনা ঠেকাতে ডিএমপি সক্ষম না অক্ষম- এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা সক্ষম। সবসময় সব ঘটনা আমরা কার্ভ করতে পারবো বিষয়টা এমন না। বিগত দিনের কথা বলি- যখন পাবলিক সেন্টিমেন্ট গ্রো করে তখন রিজেন্টমেন্ট করার জন্য রাষ্ট্রীয় যে সক্ষমতা রাষ্ট্র সর্বোচ্চ পর্যায়ে তা ব্যবহার করে। কারওয়ান বাজারের যে অবস্থা ছিল আমরা অ্যাকশনে গেলে গুলি হতো, দুই-চারজন মারা যেত। এরপর পুলিশের ওপর পাল্টা আক্রমণ হতো। যদি পুলিশ দুই-চারজন সেদিন নিহত হতো... তিনি বলেন, মাত্র এক বছর আগে পুলিশ ট্রমা থেকে বের হয়ে এই পর্যায়ে এসেছে, সামনে নির্বাচন, এই অবস্থায় পুলিশের যদি আবারও ক্যাজুয়ালিটি হয় তখন এই পুলিশ নিয়ে সামনে এগুতে পারবো না। যে কারণে আমরা সেখানে অ্যাকশনে যেতে পারি নাই। এ কারণে কোনো মানুষ হতাহত হয়নি। এত বড় ইন্সিডেন্টের আমাদের একটা অ্যাচিভমেন্ট। কোনো ধরনের ক্যাজুয়ালিটি ট্যাকল দেওয়া গেছে। সম্পদ কিছু গেছে তা পূরণ করা সম্ভব, কিন্তু হিউম্যান লাইফ যখন লস্ট হয় তা কোনো কিছুর বিনিময়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। যে কারণে অ্যাকশনে যায়নি পুলিশ। তার মানে সেদিন আপনারা কোনো অ্যাকশনে যাননি- এমন প্রশ্নে ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, যতটুকু প্রয়োজন মনে করেছি, যতটুকু আমাদের অবস্থা ছিল। সর্বোচ্চ অ্যাকশন গুলি করা পর্যন্ত যেতে পারতাম আমরা কিন্তু তা আমরা অ্যাভয়েড করার চেষ্টা করেছি। কারণ চার-পাঁচ হাজারের মতো যে জনতা ছিল সেখানে ৫০-১০০ জন ফোর্স নিয়ে অ্যাকশনে গেলে আমার পুলিশ ও পাবলিক উভয়ের ক্যাজুয়ালিটি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। টিটি/বিএ/জেআইএম