গত সপ্তাহে বন্ডি সমুদ্রসৈকতে একটি ইহুদি উৎসবে মারাত্মক হামলা চালানো বন্দুকধারীরা আক্রমণের শুরুতে চারটি অবিস্ফোরক নিক্ষেপ করে, যার মধ্যে একটি টেনিস বল বোমাও ছিল। সম্প্রতি প্রকাশিত নথি অনুসারে এসব তথ্য জানা গেছে।১৪ ডিসেম্বর সিডনির সমুদ্রসৈকতে হনুক্কা উদযাপনে হামলার ঘটনায় ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরামের বিরুদ্ধে ১৫ জনকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। হামলার সময় পুলিশের গুলিতে আহত আকরামকে সোমবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং কারাগারে পাঠানো হয়। ওই ইহুদি উৎসবে হামলা চালিয়েছিল দুই বন্দুকধারী। একজন নাভিদ আকরাম অন্যজন নাভিদের বাবা সাজিদ আকরাম, যিনি পুলিশের গুলিতে মারা যান। আরও পড়ুন:অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্র সৈকতে গুলি চালানোর ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী’ হামলা ঘোষণা, নিহত বেড়ে ১২ এদিকে, পুলিশের নথি অনুসারে আরও জানা গেছে, এই দু’জন অক্টোবরে একটি ভিডিও ইশতেহার রেকর্ড করেছিলেন যেখানে তারা ইসলামিক স্টেট গ্রুপের পতাকার সামনে বসে ছিলেন।পুলিশ অভিযোগ করেছে, বাবা-ছেলে মিলে অনেক মাস ধরে সাবধানতার সাথে এই ‘সন্ত্রাসী হামলার’ পরিকল্পনা করেছিল। নাভিদের ফোনে পাওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসলামিক স্টেট গ্রুপের সাথে যুক্ত হিংসাত্মক চরমপন্থি মতাদর্শে তারা অনুপ্রাণিত ছিলেন। পুলিশ জানায়, তাদের একটি ভিডিওতে ইসলামিক স্টেটের পতাকার সামনে বসে বন্ডি হামলার উদ্দেশ্যের বিস্তারিত বর্ণনা করতে দেখা যায়। যেখানে ‘ইহুদিবাদীদের’ কর্মকাণ্ডের নিন্দা করছেন তারা। পুলিশের অভিযোগ, ভিডিওতে নাভিদ আরবি ভাষায় কুরআনের একটি অংশ তেলাওয়াতও করছেন। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, অক্টোবরে নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রামীণ এলাকায় এই দুইজন আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, ভিডিওটিতে অভিযুক্ত এবং তার বাবাকে শটগান গুলি চালাতে এবং কৌশলগতভাবে চলাফেরা করতেও দেখা যায়। পুলিশের অভিযোগ, হামলার দুই দিন আগে বন্ডি সমুদ্র সৈকতে ধারণ করা সিসিটিভিতে তাদের দুজনকে গাড়ি চালিয়ে এলাকায় ঘুরতে দেখা গেছে।এছাড়া অভিযুক্ত এবং তার বাবা, এস আকরামকে গাড়ি থেকে নেমে ফুটব্রিজ ধরে হেঁটে যেতে দেখা যায়, যেখানে তারা দুই দিন পরে উপস্থিত হয়ে উৎসব পালন করতে আসা জনসাধারণের উপর গুলি চালিয়েছিল। পুলিশ লিখেছে। আরও পড়ুন:অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্র সৈকতে বন্দুকধারীর হামলা, বহু হতাহতের শঙ্কা পুলিশের তথ্যে আরও জানা যায়, একটি গাড়িতে রাখা জিনিসপত্রের মধ্যে ছিল তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, টেনিস বল বোমাসহ ঘরে তৈরি ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস এবং দুটি ইসলামিক স্টেটের পতাকা। সূত্র: বিবিসি