জানুয়ারি থেকে নতুন নির্ধারিত সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার আবারও কমানোর প্রস্তাব করেছে অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগ। অর্থ উপদেষ্টার অনুমোদন হলেই কার্যকর হবে এই হার। প্রস্তাব অনুমো অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) পরিপত্র জারি করবে।আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি পাওয়ার শর্তে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ঋণ নেয়া এবং সুদের হার কমানোর চাপ ছিলে প্রথম থেকেই। ফলে ব্যাংকের মুনাফার হারের সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে গত জুন থেকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমিয়ে সর্বোচ্চ ১১.৯৮ শতাংশ আর সর্বনিম্ন করা হয়েছিল ৯.৭২ শতাংশ। তবে উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতে যাপিত জীবনে যাদের পরিবারের ভরসা সঞ্চয়পত্র তারা এ বিষয়ে চিন্তিত। বাড়তি ব্যয় মেটাতে কিছু পরিবারকে সঞ্চয়পত্রে জমা অর্থ ব্যবহার করতে হচ্ছে। গ্রাহকরা বলেন, ‘ব্যাংকের নাজুক অবস্থায় মানুষ অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকলেও সঞ্চয়পত্র সরকারি ব্যবস্থায় হওয়ায় এখানে বিনিয়োগ নির্ভরযোগ্য মনে হয়। বিনিয়োগ করার সুযোগ-সুবিধা যারা পায় না, এটির হার কমানো হলে তারা অসুবিধার মধ্যে পড়বে।’ আরও পড়ুন: পরিবার সঞ্চয়পত্র কেন এত জনপ্রিয়? যারা কিনতে পারবেন এদিকে, বাজেট ঘাটতি মিটিয়ে উন্নয়ন অর্থায়নে সরকারেরও আস্থা সঞ্চয়পত্রে। উচ্চসুদে বিভিন্ন মেয়াদি সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সরকার একদিকে যেমন সচল রাখে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তেমনি বড় এক জনগোষ্ঠীকে দেয় আর্থিক নিরাপত্তা।সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের ব্যাংকমুখী করতে মুনাফার ব্যবধান কমানোকে ইতিবাচক ভাবে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সময় সংবাদকে বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রের ওপর মানুষের আগ্রহ যাতে ট্রেজারি বন্ড বা বিলে শিফট হয়, সেটি নিয়ে ভাবনা করছে সরকার এবং এ বিষয়ে খুব সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।’ এর আগে গত ২০ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল, চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া, রাজশাহী, সিলেট, সদরঘাট, বরিশাল ও রংপুর অফিস থেকে সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রয়, ছেঁড়া-ফাটা নোট বিনিময় এবং এ-চালানসহ তৎসংশ্লিষ্ট সেবা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।