ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের এখনো পুলিশ খুঁজে না পাওয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, তাহলে আজ দায়িত্বে কারা আছে- এই প্রশ্ন জনগণের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। দলবদ্ধ হামলা, উশৃঙ্খলতা ও মবোক্রেসি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এসব কর্মকাণ্ড গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী। সেখানে ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এতে সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও অংশ নেন। আরও পড়ুনহাদি হত্যাকাণ্ড বড় ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত: সালাহউদ্দিনওসমান হাদি হত্যাকে কেউ যেন রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে না পারে রিজভী বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন যে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন, তা একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সেই নেতৃত্বেই জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম গড়ে উঠেছে। তিনি বলেন, এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দৃঢ় অঙ্গীকার এই প্রজন্মের নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে বর্তমানে যে সহিংসতা, হামলা ও মব সৃষ্টি হচ্ছে, সেগুলোর অবসান ঘটাতে হবে। সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে দেশের স্বার্থবিরোধী একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিদ্যুতের প্রকৃত দামের চেয়ে বেশি দামে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে জনগণের অর্থ অপচয় করা হয়েছে। জনগণের টাকাকে নিজের টাকা মনে করে সেই অর্থে বিদ্যুৎ কেনা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কে এম কামরুজ্জামান নান্নু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কে এম আই মন্টি, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সোহেল রানা, মো. জাকির হোসেন, এ বি এম হেলাল উদ্দিনসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা। কেএইচ/এএমএ/জেআইএম