হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়াকে নিয়ে ভুল তথ্য, ট্রোলের মুখে পৌষালী

ভারতের ইতিহাসে যারা সুফি সাধক হিসেবে বিশেষভাবে স্মরণীয়, তাদের মধ্যে অন্যতম হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া। অনেকের কাছেই তিনি হযরত নিজামুদ্দিন নামে পরিচিত। প্রেম বা ইশকের মাধ্যমেই সৃষ্টিকর্তাকে পাওয়ার পথ-এই দর্শনই আজও মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। তবে এই সুফি সাধকের জন্মবৃত্তান্ত নিয়ে ভুল তথ্য তুলে ধরে এবার বিতর্কে জড়ালেন জনপ্রিয় লোকশিল্পী পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় লোকগায়িকা পৌষালী। ‘সারেগামাপা’ খ্যাত এই শিল্পীর কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধ আট থেকে আশি। যদিও নানা কারণে প্রায়ই বিতর্কে জড়ান তিনি। কিছুদিন আগেই সিনিয়র শিল্পী জোজোর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন পৌষালী। এবার নেটপাড়ার নিশানায় উঠে এলো তার একটি মঞ্চ বক্তব্য। সম্প্রতি মঞ্চে ‘ধন্য ধন্য মেরা, ধন্য ধন্য মেরা, সিলসিলা, এলো দিল্লীতে নিজামুদ্দিন আউলিয়া’ গানটি পরিবেশন করছিলেন পৌষালী। গান শুরুর আগে সুফি সাধক নিজামুদ্দিন আউলিয়াকে নিয়ে কিছু কথা বলেন তিনি। সেখানেই ঘটে বিপত্তি। পৌষালী বলেন, ‘তার (নিজামুদ্দিন আউলিয়া) নামে দিল্লিতে একটা দরগা আছে। এখন সবার হাতে মোবাইল, সত্যি-মিথ্যার যাচাই এখনই হয়ে যায়। গুগল আছে। কিন্তু আমরা তো গানটা শিখেছি, একটু না বললে গানটার প্রতিই অপমান করা হয়। হযরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া-তার যখন পাঁচ বছর বয়স, তখন তার বাবা মারা যান। মায়ের হাত ধরে পূর্ব পাকিস্তান থেকে তিনি দিল্লিতে আসেন…’ এই বক্তব্যেই আপত্তি তোলেন নেটিজেনরা। ইতিহাস অনুযায়ী, পাঁচ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়ে মায়ের সঙ্গে দিল্লিতে আসার তথ্য সঠিক হলেও তিনি পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসেননি। হযরত নিজামুদ্দিন আউলিয়ার জন্ম উত্তরপ্রদেশের বদায়ুনে। এই তথ্য গুলিয়ে ফেলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়েন গায়িকা। একজন নেটিজেন লেখেন, ‘তিনি পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসেননি। উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লিতে এসেছিলেন। এসব তথ্য গুগলেই সহজে পাওয়া যায়।’ আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘সবই ঠিক আছে, কিন্তু তিনি কোনও পাকিস্তান থেকে আসেননি। তার জন্ম উত্তরপ্রদেশের বদায়ুনে। আর তার জন্ম ১২৩৮ খ্রিস্টাব্দে-তখন পাকিস্তানের অস্তিত্বই ছিল না।’ আরও পড়ুন:বেটিং অ্যাপ মামলায় মিমি-অঙ্কুশসহ যেসব তারকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত মাতাল চালকের ধাক্কায় আহত নোরা ফাতেহি, আতঙ্কে ট্রমায় অভিনেত্রী  যদিও এই বিতর্কে পৌষালীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তার অনুরাগীরা। তাদের মতে, এটি অনিচ্ছাকৃত একটি ছোট ভুল। সেই ভুলকে বড় করে না দেখে, গায়িকার গানের মান ও পরিবেশনার দিকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এমএমএফ