বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের আসন্ন আসর শুরু ২৬ ডিসেম্বর। আজ (২২ ডিসেম্বর) ঢাকায় নিজেদের শেষ অনুশীলন করেছে বেশিরভাগ দল। আর এদিন একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে রংপুর রাইডার্স এবং রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। বসুন্ধরায় রংপুরের একাডেমি মাঠে নাজমুল হোসেন শান্তর রাজশাহীর কাছে পাত্তাই পায়নি নুরুল হাসান সোহানের রংপুর। ৫ উইকেটের জয়ে ভালোভাবেই প্রস্তুতি সারল রাজশাহী ওয়ারিয়র্স।টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা অবশ্য দারুণ হয়েছিল রংপুরের। ইফতেখারের ব্যাটে পাওয়ারপ্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান করে দলটি। তবে এরপরই পথ হারায় তারা। তাওহীদ হৃদয়, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরিরা ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৫ উইকেটে ১৩৬ রানে ইনিংস থামে রংপুরের।শেষ ১৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে কেবল ৭৯ রান করে রংপুর। আর এর পেছনে মূল অবদান ছিল রিপন মণ্ডল এবং আব্দুল গফফার সাকলাইনের। দুজনেই ৩ ওভার বোলিং করে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। পাশাপাশি রানটাও রেখেছেন নাগালের মধ্যে।রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেছেন ইফতেখার। ১৯ বলে ২৬ রান করেন হৃদয়। ২১ রান আসে মৃত্যুঞ্জয়ের ব্যাট থেকে।আরও পড়ুন: শান্তর কাঁধেই রাজশাহীর নেতৃত্ব রান তাড়ায় জিশান আলম এবং তানজিদ তামিমের ব্যাটে ভালো শুরু পায় রাজশাহী। ওপেনিংয়ে দুজন মিলে গড়েন ৪৪ রানের জুটি। ৮ বলে ১৩ রান করে জিশান ফিরলে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে এগোতে থাকেন তানজিদ। ২২ বলে ৩১ রান করে ফেরেন এই ওপেনার।তানজিদের বিদায়ের ২৬ রানের ব্যবধানে আউট হন ইয়াসির আলী এবং মেহরব হোসেন। তখন কিছুটা চাপের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল রাজশাহী৷ তবে পঞ্চম উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়ে সেই চাপ উতরে যান শান্ত এবং আকবর আলী। ৩২ বলে ৩৪ রান করে স্বেচ্ছায় রিটায়ার হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন শান্ত। আকবর আলী ২১ বলে ২৫ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। ১১ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজশাহী।রংপুরের হয়ে ২ ওভার ১ বল বোলিং করে ৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন আব্দুল হালিম।