বিশ্ব বক্স অফিসে শক্তিশালী যাত্রা শুরু করেছে জেমস ক্যামেরনের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিনির্ভর নতুন ছবি ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। ১৯ ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। এরপর বলা চলে বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে এই সিনেমা। মাত্র দুই দিনেই ছবিটি বিশ্বজুড়ে আয় করেছে প্রায় ৩৪৫ মিলিয়ন ডলার। যদিও এই সূচনা আগের কিস্তি ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’-এর তুলনায় কিছুটা কম। তবু বছরের অন্যতম বড় উদ্বোধনী সাফল্যের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ছবিটি। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বাজার থেকে ছবিটি আয় করেছে প্রায় ৮৮ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এসেছে ২৫৭ মিলিয়ন ডলার। এর ফলে ২০২৫ সালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৈশ্বিক উদ্বোধনী ছবিতে পরিণত হয়েছে ‘ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। প্রথম স্থানে রয়েছে ডিজনির আরেক অ্যানিমেশন ছবি ‘জুটোপিয়া ২’। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘অ্যাভাটার’ সিরিজের আসল শক্তি প্রথম সপ্তাহের আয় নয় বরং দীর্ঘদিন ধরে প্রেক্ষাগৃহে টিকে থাকার সক্ষমতা। আগের দুটি ছবি বড়দিনের সময় মুক্তি পেয়ে ধীরে ধীরে বিপুল আয় করেছিল। প্রথম ‘অ্যাভাটার’ বিশ্বজুড়ে প্রায় ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার এবং দ্বিতীয় কিস্তি প্রায় ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার আয় করে ইতিহাস গড়েছিল।আরও পড়ুন৪৬ বছর বয়সেই করুণ মৃত্যু, জনপ্রিয় অভিনেতার মরদেহ উদ্ধারঅ্যাভাটারে গান গেয়ে যে সম্মান পেলেন মাইলি সাইরাস তৃতীয় কিস্তির ক্ষেত্রেও আন্তর্জাতিক বাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে চীনে ছবিটির সূচনা হয়েছে প্রায় ৫৭ মিলিয়ন ডলার আয় দিয়ে, যা আগের কিস্তির চেয়েও সামান্য বেশি। এ ছাড়া ফ্রান্স, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাজ্যেও ছবিটি ভালো সাড়া পেয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, মোট টিকিট বিক্রির প্রায় ৬৬ শতাংশ এসেছে উন্নতমানের প্রদর্শনী মাধ্যম থেকে। বৃহৎ পর্দা ও ত্রিমাত্রিক প্রদর্শনী এই ছবির আয় বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। শুধু একটি বিশেষায়িত পর্দা মাধ্যম থেকেই বিশ্বজুড়ে আয় হয়েছে প্রায় ৪৩ মিলিয়ন ডলার। এটি চলতি বছরের সর্বোচ্চ সূচনার রেকর্ডগুলোর একটি। অন্যদিকে, একই সময়ে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জুটোপিয়া ২’ বক্স অফিসে দুর্দান্ত সাফল্য দেখিয়ে চলেছে। ছবিটি এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আয় করেছে প্রায় ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজার থেকেই এসেছে প্রায় ৯৯০ মিলিয়ন ডলার। এর ফলে এটি ২০২৫ সালের সর্বোচ্চ আয় করা হলিউড ছবি হিসেবে অবস্থান নিয়েছে। সব মিলিয়ে, বছরের শেষ প্রান্তিকে প্রেক্ষাগৃহগুলোতে দর্শক সমাগম বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখছে এই দুই ছবি। বিশ্লেষকদের ধারণা, ছুটির মৌসুমে দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ও শেষ পর্যন্ত বক্স অফিসে আরও বড় মাইলফলক স্পর্শ করতে পারে। এলআইএ