প্রতিরক্ষা খাতকে শক্তিশালী করতে পারমাণবিক সাবমেরিন যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তাদের এই পদক্ষেপে সমর্থন জানিয়েছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্লেষকরা বলছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই সাবমেরিনের মাধ্যমে জলপথে উত্তর কোরিয়া ও চীনের হুমকি মোকাবিলায় কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে দেশটি।দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের প্রতিরক্ষা খাতে পরমাণু-চালিত সাবমেরিন যোগ করার কথা ভাবছে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে, তাদের এই আশা পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি। বিভিন্ন সময়ে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে এই বিষয়ে সমঝোতার চেষ্টা চালালেও, তাতে ব্যর্থ হয় সিউল। তবে, চলতি বছরের অক্টোবরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে সরাসরি সাবমেরিন তৈরির প্রস্তাব দেন লি যে মিয়ুং। তাতে সায়ও দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পরমাণু-চালিত সাবমেরিন পেলে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও ভারতের কাতারে যুক্ত হবে দক্ষিণ কোরিয়া। ডিজেল-চালিত সাবমেরিনের তুলনায় দীর্ঘসময় পানির নিচে থাকার সক্ষমতা, দ্রুত গতি ও তুলনামূলক কম আওয়াজ, সব মিলে অত্যাধুনিক এই যানের রয়েছে বহু সুবিধা। যা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা খাতকে অনেকটাই এগিয়ে নিতে সক্ষম। এমনকি, জলপথে চীন ও উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য হামলা প্রতিহতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে সাবমেরিনটি। আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ উত্তরের, যেকোনো মুহূর্তে সংঘাত! উত্তর কোরিয়ার বাড়তে থাকা সক্ষমতা এবং চীনের পরমাণু-চালিত সাবমেরিনের গতিবিধি নজরদারিতে এটিকে ‘গেম-চেঞ্জার’ হিসেবে দেখছেন দেশটির প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা। তবে কোথায় এই সাবমেরিন তৈরি হবে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ট্রাম্প চান যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ফিলাডেলফিয়া শিপইয়ার্ডে এই সাবমেরিন নির্মাণ করতে। তবে, সিউলের আশা নিজ দেশের মাটিতে নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তারা এই যান উৎপাদন করবে। বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি হলে তা কার্যত সরাসরি অস্ত্র কেনার সমান, আর দক্ষিণ কোরিয়ার দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যও এতে পূরণ হবে না। উল্টো পুরো প্রক্রিয়ায় সময় লাগতে পারে অন্তত এক দশক।