যুদ্ধ বন্ধের আলোচনার মধ্যেও থেমে নেই রাশিয়া-ইউক্রেন পাল্টাপাল্টি হামলা। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ওডেসা অঞ্চলে তেলের মজুতাগারে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। অন্যদিকে সুমি অঞ্চলে পুতিন বাহিনীর অনুপ্রবেশ ঠেকাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জেলেনস্কির সেনারা।যুদ্ধ বন্ধে করণীয় ঠিক করতে ফ্লোরিডায় টানা তিন দিন ধরে আলোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল। ওই বৈঠক ফলপ্রসূ ও গঠনমূলক হয়েছে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। স্থানীয় সময় রোববার (২১ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে উইটকফ জানান, ইউক্রেন ন্যায়ের ভিত্তিতে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আলোচনায় হত্যা বন্ধ করা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়া ও ইউক্রেনের পুনরুদ্ধার, স্থিতিশীলতা ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ তৈরি করার বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। পরে এক্সে আরেকটি পোস্টে রাশিয়ার বিশেষ দূত কিরিল দিমিত্রিয়েভের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল গঠনমূলক বৈঠক করেছেন বলে জানান উইটকফ, যা প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেন শান্তি পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে বলেও উল্লখে করেন তিনি। আরও পড়ুন: মস্কোয় গাড়ি বোমা হামলায় রুশ জেনারেল নিহত আলোচনার মধ্যেও রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত রয়েছে। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ওডেসা অঞ্চলে সূর্যমুখী তেলের মজুতাগারে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। তীব্র হামলায় উপকূলীয় এই অঞ্চল ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনের সমুদ্রে প্রবেশাধিকার সীমিত এবং উপকূলীয় অঞ্চল অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এদিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সুমি অঞ্চলে রুশ সেনাদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা প্রতিহত করতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তারা। দখলদারদের নিজ ভূখণ্ডে ফেরত পাঠাতে চেষ্টা চলছে বলেও দাবি করা হয়। এর আগে ওই সীমান্তবর্তী অঞ্চলের একটি গ্রাম থেকে প্রায় ৫০ জনকে জোরপূর্বক সরিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে মস্কোর বিরুদ্ধে। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি রাশিয়া।