খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলি: বেনাপোল সীমান্তে কঠোর নজরদারি

খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতা মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধের ঘটনার পর আসামিরা যাতে ভারতে পালাতে না পারে সেজন্য যশোরের বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরের পর থেকে বেনাপোল সীমান্তসহ আশপাশের এলাকাগুলোয় কঠোর নজরদারি ও তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সীমান্ত ঘুরে দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি। সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। যেসব সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই, সেসব সীমান্ত সিলগালা করা হয়েছে। সীমান্তসংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এনসিপি নেতার গুলিবিদ্ধের ঘটনা গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এসব এলাকায় যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তবাসী রহিম জানান, অপরাধীরা আশ্রয় নিচ্ছে ভারতে। সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার থাকলে তারা ঢুকতে পারবে না। আরও পড়ুন: সীমান্তে অনুপ্রবেশ, অস্ত্রসহ বিএসএফ সদস্যকে ধরে নিয়ে এলো বিজিবি ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ অধিনায়ক মেজর নুরউদ্দীন আহম্মেদ জানান, এনসিসিপি নেতা মোতালেব শিকদাদের ওপর হামলকারীরা যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে পালাতে না পারে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এদিকে স্থানীয়রা জানান, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটিয়ে অনেকেই রাজনৈতিক আশ্রয় নিচ্ছে ভারতে। এতে অপরাধ কর্মকাণ্ডে তারা উৎসাহিত হচ্ছে। বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার থাকলে সহজে পালানোর সুযোগ থাকবে না। আরও পড়ুন: ময়মনসিংহ হয়ে দুই শুটারের ভারতে পালানোর গুঞ্জন, কী বলছে বিজিবি? উল্লেখ্য, সোমবার বেলা ১২টার দিকে খুলনায় এনসিপি’র সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদারকে নগরীর সোনাডাঙ্গা বেসরকারি গাজী মেডিকেলের সামনে গুলি করা হয়।