গত শনিবার (২০ ডিসেম্বর) টটেনহ্যাম হটস্পারকে ২-১ গোলে হারায় লিভারপুল। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নেমে গোল করে ডেডলক ভাঙেন আলেক্সান্ডার ইসাক, কিন্তু গোল করার সময় স্পার্স ডিফেন্ডার মিকি ফন ডে ভেনের চ্যালেঞ্জে পড়েন তিনি। এই ডাচ ডিফেন্ডার পেছন থেকে গতিশীল ভঙ্গিমায় স্লাইড করলে ইসাকের পা অস্বস্তিকরভাবে আটকে যায়। লিভারপুলের আশঙ্কা তাদের সুইডিশ স্ট্রাইকারের পা এই চ্যালেঞ্জে ভেঙে গেছে।কনর ব্র্যাডলির পরিবর্তে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মাঠে নেমেছিলেন ইসাক। ম্যাচের স্কোরলাইন তখন ০-০। ভার্জিল ফন ডাইককে মারাত্মক ট্যাকল করে জাভি সিমন্স লাল কার্ড দেখায় ততক্ষণে টটেনহ্যাম ১০জনের দলে পরিণত হয়েছে। সুযোগ কাজে লাগাতে ইসাককে নামিয়ে আক্রমণভাগের শক্তি বাড়ান অলরেড বস স্লট।মাঠে নামার ১০ মিনিটের মধ্যেই গোলের খাতা খুলে ফেলেন ইসাক। কিন্তু গোল উদযাপন করতে দৌড়ানোর বদলে তিনি যন্ত্রণায় কাতর হয়ে মাঠে লুটিয়ে পড়েন এবং চিকিৎসা সহায়তার ইঙ্গিত করেন। কয়েক মিনিট চিকিৎসা নেওয়ার পর খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়েন ইসাক এবং তার জায়গায় নামেন জেরেমি ফ্রিম্পং।দ্য অ্যাথলেটিক জানিয়েছে, লিভারপুল মনে করছে ইসাকের চোট ‘গুরুতর’ এবং তার পা ভেঙে যেতে পারে। এখনও তার এমআরআই স্ক্যান করা হয়নি, যা তার মাঠের বাইরে থাকার সময়কাল নির্ধারণ করবে, তবে প্রাথমিক লক্ষণ মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়। আরও পড়ুন: দীর্ঘ দিনের জন্য মাঠের বাইরে ব্রুনো ফার্নান্দেসম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ইসাকের চোট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে স্লট বলেন, ‘তার বিষয়ে আমার কাছে কোনো খবর নেই। তবে যদি কোনো খেলোয়াড় গোল করে তারপর চোট পেয়ে মাঠে ফিরে আসার চেষ্টাও না করে—যেমনটা কনর ব্র্যাডলি চেষ্টা করেছিল, যদিও তাকেও নামানো সম্ভব হয়নি, কিন্তু যদি কেউ একেবারেই ফেরার চেষ্টা না করে, সাধারণত সেটা ভালো লক্ষণ নয়। এটা শুধু আমার অনুভূতি, চিকিৎসাগত কোনো মন্তব্য নয়। এখনও তার সঙ্গে কথা হয়নি।’ গোলের পর মিকি ফন ডে ভেনের ট্যাকলে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ইসাককে। ছবি: লিভারপুলগত দলবদলের ডেডলাইন ডে'তে নিউক্যাসল থেকে ১২৫ মিলিয়ন পাউন্ডে ইসাক লিভারপুলে আসার পর এই গোলটি ছিল প্রিমিয়ার লিগে তার মাত্র দ্বিতীয় গোল। এর আগে তার একমাত্র গোলটি এসেছিল ৩০ নভেম্বর ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে ১-০ জয়ে।আরও পড়ুন: নেইমারকে কেনা মানে এখন শুধু জার্সি বিক্রির নিশ্চয়তা: ইংল্যান্ডের সাবেক তারকাএই মৌসুম জুড়েই স্লট শুরুর একাদশে ইসাককে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলিয়েছেন, কারণ গ্রীষ্মকালীন দলবদলে দলে আসা আরেক স্ট্রাইকার হুগো একিতিকে নয় নম্বর পজিশনে তার সঙ্গে সময় ভাগ করে নিয়েছেন। ইসাকের বিপরীতে একিতিকে এখন পর্যন্ত অ্যানফিল্ডে বেশ সফল, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এরই মধ্যে লিভারপুলের হয়ে ১০ গোল করেছেন। স্পার্সের বিপক্ষে লিভারপুলের দ্বিতীয় গোলটিও করেন তিনি। ফ্রিম্পংয়ের ডিফ্লেক্টেড ক্রস থেকে ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর ওপর দিয়ে লাফিয়ে হেডে বল জালে পাঠান।এদিকে তারকা ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ বর্তমানে মিশরের হয়ে আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে ব্যস্ত। পাশাপাশি জানুয়ারিতে হার্ভে এলিয়টের ক্লাবে ফেরার সম্ভাবনা নিয়েও জল্পনা বাড়ছে, কারণ অ্যাস্টন ভিলায় ধারে গিয়ে তিনি তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি।