গত সপ্তাহে সিডনির বন্ডাই সৈকতে সংঘটিত হামলার জন্য ইহুদি সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। ‘হানুক্কাহ’ অনুষ্ঠানে চালানো ওই হামলায় ১৫ জন নিহত হন। একইসঙ্গে, ঘৃণামূলক বক্তব্য ও চরমপন্থি সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়নের কথাও জানান অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী।সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দেয়া বক্তব্যে আলবানিজ বলেছেন, সাম্প্রতিক দশকগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ ‘গণহত্যা’র ঘটনাটি দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। সরকার ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। আলবানিজ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি আমার দায়িত্বের ভার গভীরভাবে অনুভব করছি। আমার মেয়াদকালেই এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, এর জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’ তিনি আরও বলেন, সরকার ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানদের অধিকার রক্ষায় কাজ করবে, যাতে তারা ‘নিজেদের ধর্ম পালন করতে পারেন, সন্তানদের শিক্ষা দিতে পারেন এবং অস্ট্রেলিয়ান সমাজে স্বাধীনভাবে অংশ নিতে পারেন’। গত ১৪ ডিসেম্বরের ওই হামলাকে অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষ ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে তদন্ত করছে। পুলিশের দাবি, সন্দেহভাজন ৫০ বছর বয়সি সাজিদ আকরাম এবং তার ২৪ বছর বয়সি ছেলে নাভিদ আইএসআইএল (আইএস) দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন। তারা যে গাড়িতে চলাচল করতেন, সেখানে আইএস-এর পতাকা পাওয়া গেছে বলেও দাবি করা হয়েছে। আরও পড়ুন: বন্ডাই সৈকতে হামলা /ঘৃণামূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া সাজিদ আকরাম পুলিশের গুলিতে নিহত হলেও নাভিদ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও সন্ত্রাসবাদসহ মোট ৫৯টি অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালতে দাখিল করা এক নথিতে পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজনরা ‘জায়নিস্টদের’ নিন্দা করে ভিডিও ধারণ করেছিলেন এবং সেখানে ‘বন্ডাই হামলার পেছনে তাদের উদ্দেশ্য’ ব্যাখ্যা করেছিলেন। নথিতে আরও বলা হয়, সাজিদ ও নাভিদ কয়েক মাস ধরে হামলার পরিকল্পনা করে আসছিলেন এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রামাঞ্চলে আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ বলেছেন, ‘সন্ত্রাসীদের আমরা জিততে দেব না। তারা আমাদের সমাজকে বিভক্ত করতে পারবে না। আমরা একসঙ্গে এই সংকট কাটিয়ে উঠব।’ সূত্র: আল জাজিরা