দীর্ঘ ১৮ বছরের নির্বাসন শেষে আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশের মাটিতে পা রাখছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার এই আগমনকে কেন্দ্র করে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে অভূতপূর্ব উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। প্রিয় নেতাকে স্বাগত জানাতে হাজার হাজার নেতাকর্মী এখন ঢাকামুখী। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, রিজার্ভ করার মতো কোনো বাস বা যানবাহনও খালি পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে যশোর শহরের ঘোপ এলাকার নিজ বাসভবনে তারেক রহমানকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিয়ে সময় সংবাদের মুখোমুখি হয়ে এ তথ্য জানান তিনি। অনিন্দ্য ইসলাম অমিত কেন্দ্রীয় অভ্যর্থনা কমিটির সদস্য।অমিত বলেন, ‘প্রায় ১৮ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। ন্যাচারালি তার দেশে ফেরা নিয়ে তো উৎসাহ উদ্দীপনা ব্যাপক। আজকে সমাজের সব শ্রেণি পেশার মানুষ বিএনপির বাইরেও সব রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তারেক রহমানের আগমনের অপেক্ষা করছেন। কারণ তারা বিশ্বাস করেন যে তারেক রহমান যদি দেশে ফেরেন তাহলে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথটা আরও সহজ হবে, আরও স্মুথ হবে।’আরও পড়ুন: নির্বাচন ঘিরে তারেক রহমানকে নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা বিএনপিরঅমিত আরও বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আসাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের যে বিষয়টা পরামর্শ দেবার চেষ্টা করছি যে, আপনারা সুশৃঙ্খলভাবে যাবেন এবং জনদুর্ভোগ যতটুকু এড়ানো যায় সেটা নিশ্চিত করবার জন্য চেষ্টা করবেন। আপনারা জানেন উনি ২৫ ডিসেম্বর আনুমানিক দুপুর ১২টা নাগাদ ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন এবং সেখান থেকে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে। পথিমধ্যে আমরা আশা করছি উনি ৩০০ ফিটে জনতার উদ্দেশে সামান্য সময়ের জন্য হলেও কথা বলবেন। আমরা ৩০০ ফিটেই তার জন্য অপেক্ষা করব ইনশাল্লাহ এবং সারা বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা যাচ্ছেন তার এই ধারাবাহিতায় খুলনা বিভাগ থেকেও যাচ্ছেন।’তিনি বলেন, ‘খুলনা বিভাগের বিএনপি, অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ঢাকায় যাবেন। নেতাকর্মীরা বাস, মাইক্রোবাস এবং ব্যক্তিগত যানবাহনের সাথে সাথে যে সব জায়গায় ট্রেন সংযোগ আছে সেসব স্থান থেকে ট্রেনের মধ্য মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করবে। এজন্য খুলনা মহানগরসহ প্রত্যেকটি জেলা উপজেলা তাদের মতো করে উদ্যোগ গ্রহণ করছে। তবে আমি যেটা জানতে পারছি কিছু নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ ইতোমধ্যেই ঢাকা অভিমুখে যাতায়াত শুরু করে দিয়েছে।’আরও পড়ুন:তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা, ব্যাংকে ‘খুনি’র ১২৭ কোটি লেনদেন!অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘সংখ্যায় আমি বলতে পারব না। তবে আমার ধারণা এমন জনসমাগম হবে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে অতীত কেউ প্রত্যক্ষ করেনি। ইনশাল্লাহ আগামীতেও কবে প্রত্যক্ষ করবে আমি বলতে পারব না। তবে এটা একটা অসাধারণ একটা ম্যাসিভ গ্যাদারিং হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। এটার মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের উত্তরণের পথটা অনেক সহজতর হবে বলে আমরা আশা করছি।’তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘খুলনা বিভাগ থেকে কি পরিমাণ মানুষ ঢাকায় যাবে তার সংখ্যা বলতে পারব না, আমি শুধু এটুকু বলতে পারি প্রত্যেক ইউনিট তাদের মতো করে গাড়ি বুক দেয়ার চেষ্টা করছেন। এই বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকবার ফলশ্রুতিতে যেটা আমি জানি প্রত্যেকেই গাড়ি সংকটে ভুগছে। প্রত্যেকেই বলছে যে ভাই আমাকে একটুখানি গাড়ির ব্যবস্থা করে দেয়া যায় কিনা? আমাকে একটু বাসের ব্যবস্থা করে দেয়া যায় কিনা? আমাদের জন্য কোনো বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা যায় কিনা? অর্থাৎ আমরা আসলে যানবাহন জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছি।’