রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গান আছে- ‘আমি, জেনে শুনে বিষ করেছি পান। প্রাণের আশা ছেড়ে সঁপেছি প্রাণ।’ এটি তার বিখ্যাত \'মায়ার খেলা\' নাটক থেকে নেওয়া একটি গান, যেখানে প্রেমে পড়ে আত্মাহুতি দেওয়ার আকুতি, বিরহ আর তীব্র প্রেমের জ্বালা প্রকাশ পেয়েছে, যেখানে প্রেমিক জেনে শুনেও বিষ পান করে এবং শুধু দূরে যেতে পারে না, বরং প্রেমিকার কাছে আত্মসমর্পণ করে সেই দহন সহ্য করে, কারণ যতই আঘাত পাক, ততই তার তৃষ্ণা বাড়ে। একই অবস্থা হয়েছে আমাদের বায়ু দূষণের কারণে। আমরা বাঁচার জন্য যে শ্বাস নিচ্ছি তা যেন বিষ পান করারই নামান্তর। কারণ এ অঞ্চলে প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু হচ্ছে বায়ু দূষণের কারণে। এ থেকে আমাদের সহজে মুক্তি নেই। আমরা জানছি, বুঝছি কিন্তু সহায় আত্মসমর্পণ করা ছাড়া কিছুই যেন করার নেই। বিশ্বব্যাংকের একটি যুগান্তকারী প্রতিবেদন দক্ষিণ এশিয়ার বায়ু দূষণ নিয়ে এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। ‘আ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো–গাঙ্গেয় প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনটি জানাচ্ছে, ইন্দো–গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের (যেমন বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তান) প্রায় ১০০ কোটি মানুষ প্রতিদিন অস্বাস্থ্যকর বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে। এটি শুধু একটি জনস্বাস্থ্য সংকটই নয়, এটি একটি ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটও বটে। এই দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে এবং আঞ্চলিক মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের উন্নতি নিশ্চিত করতে এবং পরিষ্কার বাতাসে রূপান্তরের সময় শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী সুরক্ষিত রাখতে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করার মতো সুরক্ষামূলক ব্যবস্থার প্রয়োজন। অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ বছরে আঞ্চলিক মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ১০ শতাংশ বলে ধারণা করা হচ্ছে। বায়ুদূষণের কারণে উৎপাদনশীলতায়ও বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। তবে, যদি বিভিন্ন খাত ও প্রশাসনিক পর্যায়ে কয়েকটি নির্দিষ্ট উদ্যোগ একযোগে নেওয়া যায়, তাহলে কেবল জনস্বাস্থ্যের উন্নতিই হবে না, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও শক্তিশালী হবে। পরিষ্কার প্রযুক্তি ও পদ্ধতি গ্রহণে সরকারের উচিত পরিবার, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কৃষকদের সহায়তা করা, কারণ এর পেছনে শক্তিশালী আর্থিক ও অর্থনৈতিক যুক্তি। এই পরিসংখ্যান আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে, সমস্যাটি কতটা গভীরে। চলুন, বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই মারাত্মক দূষণের প্রধান পাঁচটি কারণ এবং এর থেকে উত্তরণের পথ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। যেখানে প্রেমে পড়ে আত্মাহুতি দেওয়ার আকুতি, বিরহ আর তীব্র প্রেমের জ্বালা প্রকাশ পেয়েছে, যেখানে প্রেমিক জেনে শুনেও বিষ পান করে এবং শুধু দূরে যেতে পারে না, বরং প্রেমিকার কাছে আত্মসমর্পণ করে সেই দহন সহ্য করে, কারণ যতই আঘাত পাক, ততই তার তৃষ্ণা বাড়ে। একই অবস্থা হয়েছে আমাদের বায়ু দূষণের কারণে। আমরা বাঁচার জন্য যে শ্বাস নিচ্ছি তা যেন বিষ পান করারই নামান্তর। কারণ এ অঞ্চলে প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু হচ্ছে বায়ু দূষণের কারণে। এ থেকে আমাদের সহজে মুক্তি নেই। আমরা জানছি, বুঝছি কিন্তু সহায় আত্মসমর্পণ করা ছাড়া কিছুই যেন করার নেই। বায়ু দূষণের প্রধান পাঁচটি কারণ বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বায়ু দূষণের জন্য মূলত পাঁচটি উৎস দায়ী। আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সাথেই এই কারণগুলো ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। ১. ঘরে কঠিন জ্বালানির ব্যবহার মূল কারণ: গ্রামের এবং শহরের অনেক বাড়িতে রান্না ও ঘর গরম রাখার জন্য কাঠ, কয়লা বা ঘুটের মতো কঠিন জ্বালানি পোড়ানো হয়। এর প্রভাব কী?: এই জ্বালানি পোড়ানোর ফলে যে ধোঁয়া তৈরি হয়, তা সরাসরি ঘরের ভেতরে এবং আশপাশের বাতাসে মিশে যায়, যা বিশেষ করে নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। ২. শিল্পকারখানার দূষণ মূল কারণ: অনেক শিল্পকারখানায় আধুনিক ফিল্টার প্রযুক্তি ছাড়াই বয়লার, চুল্লি বা ভাটায় জীবাশ্ম জ্বালানি (যেমন কয়লা) এবং বায়োমাস (যেমন কাঠের গুঁড়ো) পোড়ানো হয়। এর প্রভাব কী?: এর ফলে বিষাক্ত গ্যাস ও কণা বিপুল পরিমাণে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে, যা একটি বিশাল এলাকাজুড়ে বায়ু দূষণের কারণ হয়। ৩. যানবাহনের কালো ধোঁয়া মূল কারণ: রাস্তাঘাটে পুরোনো এবং অদক্ষ ইঞ্জিনচালিত যানবাহন (যেমন বাস, ট্রাক, গাড়ি) চলাচল করে, যা থেকে প্রচুর পরিমাণে কালো ধোঁয়া নির্গত হয়। এর প্রভাব কী?: এই ধোঁয়ায় থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থগুলো শহরাঞ্চলের বাতাস শ্বাস নেওয়ার অযোগ্য করে তোলে এবং হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ৪. কৃষি খাতের দূষণ মূল কারণ: কৃষিকাজে দুটি প্রধান উপায়ে দূষণ হয়: (ক) ফসল তোলার পর জমিতে পড়ে থাকা ফসলের অবশিষ্টাংশ (নাড়া) পুড়িয়ে ফেলা এবং (খ) সার ও পশুবর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা না করা। এর প্রভাব কী?: ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর ফলে অল্প সময়ে বিশাল এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় এবং সার ও পশুবর্জ্য থেকে ক্ষতিকর গ্যাস বাতাসে মেশে। ৫. বর্জ্য পোড়ানো মূল কারণ: বাড়িঘর এবং দোকানপাটের আবর্জনা সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে যত্রতত্র পোড়ানো হয়। এর প্রভাব কী?: প্লাস্টিকসহ অন্য আবর্জনা পোড়ানোর ফলে বাতাসে মারাত্মক বিষাক্ত রাসায়নিক নির্গত হয়, যা ক্যানসারসহ নানা ধরনের জটিল রোগের কারণ হতে পারে। এই কারণগুলো জানার পর এটা স্পষ্ট যে, বায়ু দূষণ একটি জটিল ও বহুমাত্রিক সমস্যা। এখন প্রশ্ন হলো, এর থেকে মুক্তির উপায় কী? বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে শুধু সমস্যার কথাই বলা হয়নি, বরং এর সমাধানে একটি সমন্বিত ও বাস্তবসম্মত রূপরেখাও দেওয়া হয়েছে। এটি কেবল কয়েকটি বিচ্ছিন্ন পদক্ষেপের তালিকা নয়, বরং একটি ত্রিস্তরীয় কৌশল। এই কৌশলগুলো হলো: ১. উৎস পর্যায়ে দূষণ কমানো: রান্না, শিল্প, পরিবহন, কৃষি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দূষণ সৃষ্টিকারী কার্যকলাপ বন্ধ করা। ২. সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ: স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করা। ৩. প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্তিশালী করা: দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য শক্তিশালী নীতি, বাজারভিত্তিক উদ্যোগ এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা। এই কৌশলগুলো বাস্তবায়নের জন্য কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নিচে উল্লেখ করা হলো, যা উপরের পাঁচটি প্রধান দূষণের উৎসকে সরাসরি মোকাবিলা করে: পরিষ্কার রান্না ব্যবস্থা: কাঠ বা কয়লার চুলার পরিবর্তে বিদ্যুৎচালিত চুলার ব্যবহার বাড়ানো। শিল্পের আধুনিকীকরণ: কারখানার বয়লার ও ভাটায় উন্নত ফিল্টার প্রযুক্তি ব্যবহার করা এবং বিদ্যুতায়ন করা। পরিবেশবান্ধব পরিবহন: বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং সাইকেলের মতো অ-মোটরচালিত যানবাহনের ব্যবহার উৎসাহিত করা। কৃষিতে উন্নত ব্যবস্থাপনা: ফসলের অবশিষ্টাংশ না পুড়িয়ে সেগুলো সার হিসেবে ব্যবহার করার পদ্ধতি গ্রহণ করা। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: আবর্জনা উৎস থেকে আলাদা করে তা পুনর্ব্যবহার (Recycle) করার ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এই সমাধানগুলো বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য প্রতিবেদনটি ‘চারটি আই’ (Four I\'s) নামক একটি কার্যকর কাঠামোর ওপর জোর দিয়েছে: তথ্য (Information): সঠিক পরিকল্পনা ও জবাবদিহিতার জন্য নির্ভরযোগ্য তথ্য সহজলভ্য করা। প্রণোদনা (Incentives): মানুষ ও বিনিয়োগকারীদের পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির দিকে উৎসাহিত করা। প্রতিষ্ঠান (Institutions): সমন্বিত পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে এবং আইন প্রয়োগ করতে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। অবকাঠামো (Infrastructure): পরিবেশবান্ধব জ্বালানি, পরিবহন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি করা। দক্ষিণ এশিয়ার বায়ু দূষণ একটি আন্তঃসীমান্ত সমস্যা, যা কোনো একটি দেশের পক্ষে একা সমাধান করা সম্ভব নয়। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনটি আমাদের শুধু সতর্কই করে না, বরং একটি সুস্পষ্ট, প্রমাণভিত্তিক পথও দেখায়। এটি পরিষ্কার করে দিয়েছে যে বিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়; এর মোকাবিলার জন্য প্রয়োজন সরকার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ মানুষের সম্মিলিত উদ্যোগ। প্রতিবেদনে উল্লিখিত ত্রিস্তরীয় কৌশল এবং ‘চারটি আই’ কাঠামো অনুসরণ করে আমরা যদি সমন্বিতভাবে কাজ করি, তবে এই সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এর মাধ্যমে আমরা কেবল লাখ লাখ মানুষের জীবনই বাঁচাতে পারব না, বরং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নির্মল ও স্বাস্থ্যকর বায়ু নিশ্চিত করতে পারব। দক্ষিণ এশিয়ার ইন্দো–গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চল (আইজিপি–এইচএফ) জুড়ে বায়ুদূষণ এখন এই অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুতর উন্নয়ন চ্যালেঞ্জগুলোর একটি, যা স্বাস্থ্য ও উৎপাদনশীলতার ওপর বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে আনছে। বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন ‘আ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো–গাঙ্গেয় প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ অনুযায়ী, এই অঞ্চলের দেশগুলো (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তান) বায়ুদূষণের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার বায়ুদূষণের প্রধান উৎস: প্রতিবেদনটিতে এ অঞ্চলের পাঁচ দেশের বায়ুদূষণের মূল উৎস হিসেবে পাঁচটি বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে: ১. ঘরে কঠিন জ্বালানি পোড়ানো: রান্না ও গরমের জন্য ঘরে কঠিন জ্বালানি পোড়ানো। ২. শিল্পকারখানার অদক্ষ ব্যবহার: যথাযথ ফিল্টার প্রযুক্তি ছাড়াই শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি ও বায়োমাসের অদক্ষ ব্যবহার। ৩. অকার্যকর যানবাহন: অকার্যকর অভ্যন্তরীণ দহন ইঞ্জিনচালিত যানবাহনের ব্যবহার। ৪. কৃষি পদ্ধতি: কৃষিতে ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং সার ও পশুবর্জ্য অদক্ষভাবে ব্যবস্থাপনা করা। ৫. বর্জ্য পোড়ানো: ঘর ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বর্জ্য পোড়ানো। নির্মল বাতাস নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে তিনটি সমাধানের কথা বলা হয়েছে, যা একটি আরেকটির সঙ্গে যুক্ত: ১. উৎস পর্যায়ে নির্গমন কমানোর উদ্যোগ: এই সমাধানে রান্না, শিল্প, পরিবহন, কৃষি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো বিভিন্ন খাতে উৎস পর্যায়ে নির্গমন হ্রাস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে, যেমন— ◦ বিদ্যুৎচালিত রান্নাব্যবস্থা গ্রহণ করা। ◦ শিল্পকারখানার বয়লার, চুল্লি ও ভাটার বিদ্যুতায়ন ও আধুনিকীকরণ করা। ◦ অ-মোটরচালিত ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থা চালু করা। ◦ ফসলের অবশিষ্টাংশ ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। ◦ বর্জ্য আলাদা করা, পুনর্ব্যবহার এবং নিরাপদ নিষ্পত্তির উন্নত পদ্ধতি গ্রহণ করা। ২. সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা: এ ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করা হবে। এর উদ্দেশ্য হলো পরিষ্কার বাতাসে রূপান্তরের সময় শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষিত রাখা। ৩. শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান ও নীতিনির্ধারণী কাঠামো: এই সমাধানে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, নীতিনির্ধারণী কাঠামো, বাজারভিত্তিক উপকরণ এবং আঞ্চলিক সমন্বয়ের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি বহু খাত ও বহু অঞ্চলীয় অগ্রগতি ধরে রাখা হবে। এই সমাধানগুলো বাস্তবায়নে সরকারের উচিত পরিবার, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কৃষকদের পরিষ্কার প্রযুক্তি ও পদ্ধতি গ্রহণে সহায়তা করা। এই ধরনের সমন্বিত, বাস্তবসম্মত ও প্রমাণভিত্তিক উদ্যোগ বড় পরিসরে বাস্তবায়নের মাধ্যমে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব, যা জনস্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও শক্তিশালী করবে। লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট। ডেপুটি এডিটর, জাগো নিউজ। drharun.press@gmail.com এইচআর/এমএফএ/জেআইএম