ইআইপি ও শিল্প নীতিমালাকে এক করার সুপারিশ

বাংলাদেশের শিল্পাঞ্চলগুলো বর্তমানে জাতীয় জিডিপিতে ৩৭ শতাংশের বেশি অবদান রাখছে। তবে ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ রক্ষা এবং সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ইকো-ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক (ইআইপি) নীতিমালাকে বাংলাদেশের জাতীয় শিল্পনীতির সঙ্গে একীভূত করার সুপারিশ করেছেন তারা। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এক কর্মশলায় এ সুপারিশ করা হয়। ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সেরারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশে ইকো-ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লাইট টাচ কার্যক্রম শীর্ষক পাইলট প্রকল্পের ওই সমাপনী কর্মশালায় বাংলাদেশের শিল্পখাতের টেকসই রূপান্তরের একটি কার্যকর রূপরেখা তুলে ধরা হয়। কর্মশলায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব ওবায়দুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিসিকের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম এবং বেপজা এর সদস্য (প্রকৌশল) প্রকৌশলী দুল্লাহ আল মামুন। এ সময় শিল্প সচিব বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশ স্বল্পোন্নত থেকে উত্তরণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। একই সাথে পরিবেশগত মান রক্ষা এবং সম্পদের দক্ষ ব্যবহারের পাশাপাশি সামাজিক দায়বন্ধতার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক প্রত্যাশা দিন দিন বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কগুলোর গুণগত পরিবর্তন হওয়া এখন সময়ের দাবি। আমাদের প্রথাগত জমি বরাদ্দ এবং ইউটিলিটি সেবা দেওয়ার মডেলগুলো পেছনে ফেলে একটি সমন্বিত, সেবামুখী এবং টেকসই শিল্প ইকোসিস্টেমের দিকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। এজন্য শিল্প মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে জাতীয় শিল্পনীতি পরিমার্জন এবং একে আরও শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। বিসিক চেয়ারম্যান বলেন, আগামী দিনে ইন্ডাস্ট্রিয়ালপার্ক কর্তৃপক্ষগুলো কেবল জমি ব্যবস্থাপক হিসেবেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং তারা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্থায়িত্ব, উৎপাদনশীলতা এবং বৈশ্বিক কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে সক্রিয় সেবা প্রদানকারী হিসেবে ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশর দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইআইপির মূলনীতিগুলোকে পর্যায়ক্রমে সকল শিল্প নগরীতে বাস্তবায়িত করতে বিসিক, শিল্প মন্ত্রণালয় ও ইউএনআইডিওসহ সকল অংশীদারদের সাথে একযোগে কাজ করতে পুরোপুরি প্রস্তুত। এনএইচ/এমআরএম/জেআইএম