চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো পরাশক্তি দেশও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ভয় বলে দাবি করেছেন জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা ও বিজেপি বিধায়ক সুনীল শর্মা। তিনি আরও বলেছেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে চুপ থাকবেন না মোদী। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) হিন্দু সংগঠনগুলোর ডাকে আয়োজিত বিক্ষোভে অংশ নিয়ে এসব মন্তব্য করেন তিনি। জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা ও বিজেপি বিধায়ক সুনীল শর্মা/ তার নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সংগৃহীত ছবি সনাতন ধর্ম সভার সভাপতি মহন্ত রাম শরণ দাস আচার্যের নেতৃত্বে বিক্ষোভে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুনীল শর্মা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ভয় পায়। তিনি সারা বিশ্বের হিন্দুদের আশা-ভরসা, বিশেষ করে বাংলাদেশের হিন্দুদের। ভারত ২০৪৭ সালের মধ্যে সামরিক ও অর্থনৈতিক সুপারপাওয়ারে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রা ঠেকাতেই একাধিক দেশের চেইন ষড়যন্ত্র চলছে, যার উদ্দেশ্য ভারতকে দুর্বল করা। সুনীল শর্মা বলেন, বাংলাদেশে যা ঘটছে, তা ভারতের বিরুদ্ধে কয়েকটি দেশের ষড়যন্ত্র। তার দাবি, এসব দেশ ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতকে উসকে দিয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে চায়। কিস্তওয়ার শহরের রাস্তায় মিছিল করে প্রতিবাদকারীরা। পরে তাদের একটি প্রতিনিধিদল ডেপুটি কমিশনারের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তারা ভারতের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের কাছেও স্মারকলিপি জমা দেওয়ার ঘোষণা দেয়। স্মারকলিপিতে বাংলাদেশে হিন্দুদের রক্ষা, তাদের সম্পত্তি ও ধর্মীয় স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়। বিক্ষোভ চলাকালে প্রতিবাদকারীরা বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। সনাতন ধর্ম সভার ডাকে দেওয়া বন্ধের কারণে কিস্তওয়ারে বেশ কয়েকটি দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সুনীল শর্মা বলেন, হিন্দুদের প্রতিদিনই ‘সংস্কৃতি ও সনাতন’র অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে। তার ভাষায়, আমরা মোগল ও ব্রিটিশ আগ্রাসন টিকে গেছি, এই নতুন চ্যালেঞ্জও টিকে যাবো। কেউ আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি। তাহলে বাংলাদেশে যা ঘটছে, সে বিষয়ে জাতিসংঘ বা সংখ্যালঘু অধিকার সংস্থাগুলো নীরব কেন? শর্মা বলেন, দুই কোটি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ করেছে। পাশাপাশি বার্মা ও পাকিস্তান থেকেও অনুপ্রবেশকারীরা এসেছে। তাদের অনেকেই পরিচয়পত্র পেয়ে ভোটার হয়ে গেছে। বিজেপি নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশে চলমান প্রতিবাদ ও অস্থিরতা মূলত ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সাজানো হয়েছে। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত, পাকিস্তান হোক বা বাংলাদেশ, মোদী নীরব থাকবেন না। সূত্র: এনডিটিভি এসএএইচ