যুক্তরাষ্ট্রের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন জানিয়েছে, তারা ১ হাজার ৮০০-এরও বেশি উত্তর কোরীয়র চাকরির আবেদন আটকে দিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার একটি সন্দেহভাজন আইটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযোগ থাকায় এসব আবেদন আটকে দেয়া হয়েছে। খবর এএফপির।চাকরির আবেদন আটকে দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন অ্যামাজনের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা স্টিফেন শ্মিড। গত সপ্তাহে লিঙ্কডইনে এক পোস্টে বলেছেন, আবেদনকারীরা আইটি খাতে চাকরি নিতে আবেদন করার জন্য জাল বা চুরি করা পরিচয়পত্র ব্যবহার করেছিলেন। তাদের লক্ষ্য ছিল আয় করা অর্থ উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কর্মসূচির তহবিলে দেয়া। গত এক বছরে অ্যামাজনে এই ধরনের আবেদনের সংখ্যা প্রায় ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে আবেদনকারীরা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘ল্যাপটপ ফার্ম’ ব্যবহার করেন। ল্যাপটপ ফার্ম বলতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এমন কিছু কম্পিউটারকে বোঝানো হয়, যেগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া বা অন্য যে কোনো দেশ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আরও পড়ুন: কর্মী ছাঁটাইয়ের হিড়িক, এআইতেই আস্থা অ্যামাজনের! অ্যামজনের নিরাপত্তা কর্মকর্তা স্মিড জানান, এই সমস্যা ‘কেবল অ্যামাজনের ক্ষেত্রে নয়, সম্ভবত পুরো প্রযুক্তিশিল্পজুড়ে ব্যাপকভাবে ঘটছে।’ শ্মিড জানান, উত্তর কোরিয়ার কর্মীদের চিহ্নিত করার কিছু লক্ষণ হলো ভুলভাবে ফরম্যাট করা ফোন নম্বর এবং জাল শিক্ষাগত যোগ্যতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গত জুলাই মাসে অ্যারিজোনার এক নারীকে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি উত্তর কোরীয়দের প্রায় ৩০০টি মার্কিন কোম্পানিতে চাকরি পেতে সাহায্য করার জন্য একটি ল্যাপটপ ফার্ম পরিচালনার সহায়তা করেছিলেন। ওই প্রকল্পের মাধ্যমে অবৈধভাবে ১ কোটি ৭০ লাখ ডলার আয় করা হয়, যার বড় অংশই উত্তর কোরিয়ার তহবিলে পাঠানো হয়েছিল। গত বছর সিউলের গোয়েন্দা সংস্থা সতর্ক করে, উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দারা লিঙ্কডইন ব্যবহার করে নিয়োগকর্তা ভান করে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা খাতের কর্মীদের কাছে তাদের প্রযুক্তি সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে।