দেহরক্ষী হিসেবে চাকরি দেয়ার নামে দক্ষিণ আফ্রিকার ১৭ জন যুবককে পাঠানো হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে। এই যুবকেরা এখন ইউক্রেনের দোনবাসে রাশিয়ার হয়ে লড়াই করছে। এদিকে এমন খবরে গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন তাদের পরিবার ও স্বজনরা।রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার ১৭ জন যুবককে প্রতারণা করে রুশ বাহিনীতে যোগদান করানো হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক অপরাধ’ হিসেবে বিবেচনা করছে। দক্ষিণ আফ্রিকার তিন সন্তানের জনক ডুবান্ডেলা জানিয়েছেন, চলতি বছরের জুলাই মাসে তার ২০ বছর বয়সি ছেলেকে রাশিয়ায় ‘ভিআইপি’ দেহরক্ষী হিসেবে প্রশিক্ষণের জন্য নাম লেখান। এমন একটি চাকরি পাওয়ায় বাবা হিসেবে তিনি খুশিই হয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন পর তিনি জানতে পারেন, তার ছেলে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার আরও কমপক্ষে ১৬ জন তরুণকে রাশিয়ায় নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়েছে। একটি অজ্ঞাত ভাড়াটে গোষ্ঠী তাদেরকে দেহরক্ষী হিসেবে চাকরি দেয়ার নামে নিয়োগ করেছিল। আরও পড়ুন: বার্ষিক সংবাদ সম্মেলন / পুতিনের সামনেই প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন সাংবাদিক! (ভিডিও) ৫৬ বছর বয়সি ডুবান্ডেলা নিরাপত্তার ভয়ে নিজের পুরো নাম এবং ছেলের নাম প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, তার ছেলে তাকে বলেছে যে, তিনি ও অন্য ১৬ জন এখন ইউক্রেনের দোনবাসে হিমশীতল ঠান্ডায় সারাদিন বাঙ্কার বা পরিখা খনন করে দিন কাটাচ্ছেন। এদিকে এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দক্ষিণ প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার কার্যালয়। ভিনসেন্ট ম্যাগওয়েনিয়া নামে প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেছেন, বিষয়টি ‘সর্বোচ্চ মনোযোগ পাচ্ছে’। যদিও যুবকদের উদ্ধারের প্রক্রিয়াটি একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল।’ মুখপাত্র আরও বলেন, ‘তারা এখন মারাত্মক বিপদের মুখে আছে। আমরা এখনও রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় দিকের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করছি। তারা যে পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে তা থেকে কীভাবে আমরা তাদের মুক্ত করা যায় তার সম্ভাব্য সব পথ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ আরও পড়ুন: রাশিয়াকে ‘যৌক্তিক জবাব’ দেয়ার হুঁশিয়ারি জেলেনস্কির