টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে দলসংখ্যা সীমিত হলেও টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা পেয়েছে ৯৬টি দল। এতো দলের খেলায় স্বাভাবিকভাবেই নিয়মিতই রেকর্ড ভাঙা-গড়া চলে। সব রেকর্ডের খবরও সংবাদমাধ্যমে আসে না, খেলাটার ভক্ত-সমর্থকরাও সব খবর রাখেন না। তবে গেদে প্রিয়ানদানার রেকর্ডটাকে কিছুতেই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে পাঁচ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েছেন তিনি।ক্রিকেটের নাড়িনক্ষত্রের খবর রাখা মানুষেরও গেদে প্রিয়ানদানাকে চেনার কারণ নেই। কারণ এই ফাস্ট বোলার যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেন টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের ৬৪ নম্বরে থাকা ইন্দোনেশিয়ার হয়ে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বালিতে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে এক ওভারে পাঁচ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন এই ২৮ বছর বয়সী। নারী ও পুরুষদের ক্রিকেট মিলিয়েই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এমন কীর্তি তিনিই প্রথম গড়লেন।ইনিংসের ১৬তম ওভারে এই কীর্তি গড়েন প্রিয়ানদানা। মজার বিষয় হলো, ম্যাচে এটিই ছিল তার প্রথম ওভার। তখন ম্যাচ ছিল হাড্ডাহাড্ডি অবস্থায়, শেষ পাঁচ ওভারে কম্বোডিয়ার দরকার ছিল ৬২ রান, হাতে ছিল পাঁচ উইকেট। এমন সময় আক্রমণে এসে প্রতিপক্ষের সব আশা চূর্ণ করে দেন প্রিয়ানদানা। ওভারের প্রথম তিন বলেই হ্যাটট্রিক করেন প্রিয়ানদানা, আউট করেন শাহ আবরার হুসেইন, নির্মলজিৎ সিং ও চানথেউন রাথানাককে।এরপর একটি ডট বল দেন তিনি, তারপর মংদারা সককে আউট করেন। পরের বলটি দেন ওয়াইড। ওভারের শেষ বলে পেল ভেন্নাককে ফিরিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন প্রিয়ানদানা, সেই সঙ্গে গড়েন ইতিহাস। এর ফলে কম্বোডিয়া মাত্র ১০৭ রানে অলআউট হয় এবং ইন্দোনেশিয়ার কাছে ৬০ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায়।আরও পড়ুন: ভারতীয়দের আচরণকে ক্রিকেটীয় চেতনার পরিপন্থী বলছেন সরফরাজএর আগে ব্যাট হাতেও ইনিংস শুরু করেছিলেন প্রিয়ানদানা। ব্যাট হাতে অবশ্য ভালো করতে পারেননি, ১১ বলে ৬ রান করেন। তবে ব্যাটিংয়ে মূল আকর্ষণ ছিলেন তার ওপেনিং পার্টনার ধর্মা কেসুমা। তিনি ৬৮ বলে ১১০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল ৮টি চার ও ৬টি ছক্কা।টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ওভারে পাঁচ উইকেট স্বীকৃত ক্রিকেটে এক ওভারে পাঁচ উইকেট নেয়ার প্রথম কীর্তি বাংলাদেশের আল আমিন হোসেনের। ছবি: এপিটি–টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ওভারে পাঁচ উইকেট নেওয়া তৃতীয় বোলার হলেন গেদে প্রিয়ানদানা। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়েছিলেন বাংলাদেশের আল-আমিন হোসেন। পরে সেই রেকর্ডে ভাগ বসান অভিমন্যু মিঠুন।আরও পড়ুন: অ্যাশেজ শেষ কামিন্সেরআল-আমিন হোসেন ২০১৩–১৪ মৌসুমে বিজয় দিবস টি–টোয়েন্টি কাপে ইউসিবি–বিসিবি একাদশের হয়ে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন। আর অভিমন্যু মিঠুন ২০১৯–২০ মৌসুমে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির সেমিফাইনালে কর্ণাটকের হয়ে হরিয়ানার বিপক্ষে একই কীর্তি গড়েন।আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্ষেত্রে এর আগে এক ওভারে চার উইকেট নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ১৪ বার। তবে এই প্রথম কোনো বোলার আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এক ওভারে পাঁচ উইকেট শিকার করলেন।