পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সাথে আলোচনা কেবলমাত্র বৈধ দাবির ভিত্তিতেই সম্ভব এবং সংলাপের আড়ালে ব্ল্যাকমেইল করার প্রচেষ্টা সহ্য করা হবে না। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) তিনি এসব কথা বলেন।ফেডারেল মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ আরও বলেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এবং তার সহযোগীরাও আলোচনা করার বিষয়ে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি পূর্বে পিটিআই নেতাদের সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং জাতীয় পরিষদেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এ সময় শেহবাজ বলেন, ‘শুধুমাত্র বৈধ দাবির উপর আলোচনা হতে পারে। আলোচনার আড়ালে ব্ল্যাকমেইলিং কাজ করবে না।’ আরও পড়ুন:অনুপ্রবেশকারী ৭০ শতাংশ সশস্ত্র গোষ্ঠীই আফগান নাগরিক: আসিম মুনির ‘যদি তারা এর জন্য প্রস্তুত থাকে, তাহলে পাকিস্তান সরকার অবশ্যই প্রস্তুত।’ শেহবাজ বলেন, দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে সম্প্রীতি অপরিহার্য। পিটিআই-এর কারাবন্দী প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান, মাহমুদ খান আছাকজাইয়ের সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করার দুই দিন পর তার এই মন্তব্য এলা। এদিকে, ইমরানের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে লেখা পাওয়া যায়, সোহেল আফ্রিদির প্রতি আমার বার্তা হল রাজপথে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হও। সমগ্র জাতিকে তাদের অধিকারের জন্য জেগে উঠতে হবে।’দ্য নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পিটিআই-এর তথ্য সম্পাদক শেখ ওয়াকাস আকরামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যেহেতু প্রতিবাদ আন্দোলনের নীতিগত নির্দেশনা সরাসরি দলের নেতা ইমরান খানের কাছ থেকে এসেছে, তাই এটিই কার্যকর হবে। আকরাম ব্যাখ্যা করেছেন, আছাকজাই সংলাপসহ তার নিজস্ব রাজনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন, তবে পিটিআই নেতারা ইমরান খানের সর্বশেষ নির্দেশ অনুসরণ করতে বাধ্য। আকরামের মতে, খান খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রীকে (সোহেল আফ্রিদি) আইনের শাসন এবং সংবিধানের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য একটি প্রতিবাদ আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।কেন্দ্রীয় সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এর আগে বলেছিল যে, ৯ মে-এর ঘটনা এবং দলের সোশ্যাল মিডিয়ায় সেনাবাহিনী বিরোধী প্রচারণার জন্য অনুশোচনা বা ক্ষমা চাওয়া ছাড়া পিটিআই-এর সাথে কোনো অর্থবহ সংলাপ সম্ভব নয়। আরও পড়ুন:নেতাকর্মীদের দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান ইমরান খানেরএর আগে শনিবার অনুষ্ঠিত বিরোধী জোটের একটি জাতীয় সম্মেলনে, এর প্রধান মাহমুদ খান আছাকজাই ঘোষণা করেন যে সংবিধান ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। আছাকজাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এবং জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলামের প্রধান মাওলানা ফজলুর রেহমানকে দেশকে সংকট থেকে বের করে আনার জন্য সংলাপ শুরু করার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। সূত্র: জিও নিউজ, ডন