প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতার সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে আলেম-উলামা, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও ইসলামপন্থী যুবসমাজের ওপর বেআইনি গ্রেফতার ও হয়রানির নগ্ন অভিযানের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ, উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস।মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ জাহিদুজ্জামান এবং সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফ ও জাকির হোসাইন এই প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, সহিংসতা, ভাঙচুর বা আইনবহির্ভূত কোনো কর্মকাণ্ড আমাদের আদর্শ ও রাজনৈতিক চেতনার পরিপন্থী। ইসলামপন্থী আন্দোলন বরাবরই শান্তিপূর্ণ ও সাংবিধানিক পন্থায় বিশ্বাসী। কাজেই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢালাওভাবে ইসলামপ্রিয় জনতাকে অভিযুক্ত করার অপচেষ্টা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও রাজনৈতিকভাবে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের নামান্তর।নেতারা আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমগুলোর অতীত ভূমিকা, পক্ষপাতদুষ্ট সাংবাদিকতা ও ইসলামবিদ্বেষী অবস্থানের কারণে জনমনে যে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ জমে উঠেছে, তা একটি অনস্বীকার্য বাস্তব সত্য। কিন্তু সেই সামাজিক বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে নির্দোষ আলেম, যুবক ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের টার্গেট করা চরম দায়িত্বহীনতা ও ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া কিছুই নয়। বিশেষ করে সাদা পোশাকে তুলে নেয়া, ভয়ভীতি প্রদর্শন, পরিবারকে অন্ধকারে রেখে গ্রেফতার এবং আইনি প্রক্রিয়া উপেক্ষা করার যে সংস্কৃতি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তা বিগত দিনের ফ্যাসিবাদী দমন-পীড়নের ভয়াবহ স্মৃতিকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনর্বহালের মধ্য দিয়ে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে: খেলাফত মজলিসবিবৃতিতে তারা স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেন যে, কেউ অপরাধ করলে অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে, তবে তা হতে হবে স্বচ্ছ তদন্ত, যথাযথ প্রক্রিয়া ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে। অনুমান বা আদর্শিক শত্রুতার ভিত্তিতে নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা সংবিধান, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের সরাসরি লঙ্ঘন। বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস আলেম সমাজ ও ইসলামপ্রিয় যুবসমাজের নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার রক্ষায় কোনো আপস করবে না। অবিলম্বে সব ধরনের বেআইনি আটক বন্ধ করতে হবে, নির্দোষদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে এবং ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে।নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ছাড়া রাষ্ট্রে শান্তি ও স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়; এই সত্যকে উপেক্ষা করলে তার দায় ইতিহাস কখনো ক্ষমা করবে না।