বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিসিবি পরিচালক ও সিসিডিএম চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন। তার দাবি, গত ছয় মাসে বর্তমান বোর্ডের দুর্নীতি নাজমুল হাসান পাপনের ১৫ বছরের দুর্নীতিকেও ছাড়িয়ে গেছে। তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ নাকচ করে দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।সাম্প্রতিক সময়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দীপনের একটি মন্তব্যে বেশ আলোড়ন তৈরি হয়েছে। আত্মবিশ্বাস নিয়ে দীপন সেখানে বলেন, 'নতুন বোর্ডের অধীনে গেল ছয় মাসে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা সাবেক বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপনের ১৫ বছরের দুর্নীতিকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। তদন্ত করলে সব বেরিয়ে আসবে।' আজ (২৩ ডিসেম্বর) একটি কর্মশালায় যোগ দিয়ে সেই অভিযোগ নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এটা তার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মত। আমি এটাকে ডিফেন্ড করছি যে এটা তার কথা। এ ধরনের কোন অডিট বা এ ধরনের কোন কাজ আমরা করছি না। কিন্তু আমরা যেটা করছি সেটা হচ্ছে সবমিলে বাংলাদেশ ক্রিকেটে গত ১৫ বছরের যে যে জায়গাগুলোতে মনে হয়েছে সেগুলোতে আমাদের কাজ করা উচিত।’ ‘আপনারা জানেন আমরা প্রকৃতপক্ষে একটা উত্তরণের মধ্যে আছি। একটা সিস্টেমে চলছিল গত ১৫ বছর যেখানে এক ওভারে ৯০ রানও দেয়া হয়েছিল। এখানে বেশ কিছু পিচের মাটি কেনার পরেও মাটির কোন হদিস নেই। তো সব অডিট এখন চলছে। কিন্তু ওই যে কথাটা আপনি বললেন, ওটা আমি মেনে নিচ্ছি না। এটা তার ব্যক্তিগত মত।’ আরও পড়ুন: ২০২৫: টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের স্বপ্নের বছর বিসিবিকে ঢেলে সাজাতে ‘ত্রিপল সেঞ্চুরি প্রোগ্রাম’-এর আওতায় কাজ চলছে বলে জানান এই বিসিবি পরিচালক। তিনি বলেন, ‘এইচআর বিভাগ থেকে আমরা এক্সটার্নাল অডিট রিপোর্ট পেয়েছি। সেই অনুযায়ী বোর্ডের পুরো অর্গানোগ্রাম পরিবর্তন করা হয়েছে, যা আগামী বোর্ড মিটিংয়ে অনুমোদনের জন্য উঠবে। বেশ কিছু বড় পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে।’ মাত্র ৩ দিন পর মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বিপিএলের আসন্ন আসর। সেই আসর নিয়ে বুলবুল বলেন, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য একটি সুষ্ঠু ও পরিচ্ছন্ন বিপিএল উপহার দেওয়া। দ্বিতীয়ত, বিপিএলের পরেই আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তাই এখান থেকে সরাসরি প্রস্তুতি না হলেও, এই ফরম্যাটের একটা ভালো প্রস্তুতি যেন আমরা নিতে পারি, সেদিকে নজর থাকবে।’